ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের এক শহরে সোমবার ভোরবেলা আপাতদৃষ্টিতে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন, ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর জেরে হওয়া বিক্ষোভের একটি কেন্দ্রবিন্দু ঐ শহরটি। ঐ শহরের কাছের একটি গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত একজন লোকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বলে, সক্রিয়কর্মীরা জানান।
সোমবার ভোরে সানানডাজ শহরে ঐ সহিংসতা হয়। শহরটি ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশের রাজধানী। এছাড়াও ইরাকের সীমান্তবর্তী সালাস বাবাজানি গ্রামেও সহিংসতা হয়। হেনগ্য অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস নামের এক কুর্দি গোষ্ঠী এমন তথ্য জানিয়েছে। আমিনি একজন কুর্দি ছিলেন এবং তার মৃত্যু কুর্দি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। সেখানে ১৭ সেপ্টেম্বর, তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিন থেকে বিক্ষোভ আরম্ভ হয়েছে।
হেনগ্য কিছু ফুটেজ পোস্ট করে বলেছে যে, সেটিতে সানানডাজ-এর এক মহল্লা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে। একইসাথে রাতের আকাশে রাইফেলের গুলির আওয়াজও শোনা গিয়েছে বলে মনে হয়েছে। ভিডিওতে মানুষজনের চিৎকারের আওয়াজও শোনা যায়।
সহিংসতায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। পরবর্তীতে হেনগ্য অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করে, যাতে রাইফেল ও শটগানের গুলির খোলস ও ব্যবহৃত কাঁদানে গ্যাসের গোলার খোলস দেখা যাচ্ছে বলে মনে হয়েছে।
সানানডাজে সোমবার ভোরের সহিংসতা বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যাখ্যা দেয়নি। শহরটি তেহরান থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) পশ্চিমে অবস্থিত। ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশের গভর্নর, ইসমাইল জারে কুশা, কোন প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেছেন যে, অজ্ঞাত কতগুলো দল শনিবার “রাস্তায় তরুণদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে”। আধা-সরকারি ফার্স সংবাদ সংস্থা সোমবার এমনটি জানিয়েছে।
এদিকে, হেনগ্য বলছে, সানানডাজ থেকে ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত সালাস বাবাজানি গ্রামে, ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে বিক্ষোভরত ২২ বছর বয়সী এক লোককে বারবার গুলি করে এবং ঐ ব্যক্তি পরবর্তীতে সেই আঘাতে মারা যান। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে যে, গোলাগুলিতে অন্যান্যরা আহত হয়েছেন।