ইউক্রেনের রাজধানী এবং সারা দেশে বিভিন্ন শহরে রাশিয়ান সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেন্সকি মঙ্গলবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে গ্রুপ অফ সেভেন দেশগুলির নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে ।
বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই, ইউক্রেনের স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস জাপোরিঝিয়ায় একাধিক নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর দেয়। কমপক্ষে একজন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের
বলেন, ”রাশিয়ার এই হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে শত্রুতার মূলনীতি লঙ্ঘন হতে পারে।”
তাছাড়া , ইচ্ছাকৃতভাবে সামরিক কারণ ছাড়া বেসামরিক বস্তুর বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা করাকে তিনি যুদ্ধাপরাধের সমান বলে মন্তব্য করেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবা বলেছেন, রাশিয়া পরিকল্পিত ভাবে জ্বালানি সুবিধাকে টার্গেট করছে।
ভলোদিমির জেলেন্সকি সোমবার বলেন, '’ইউক্রেনকে ভয় দেখানো যাবে না'’
এবং ভয় দেখানোর পরিবর্তে রাশিয়ার এই হামলা '’পুরো বিশ্বকে সতর্ক করে দিয়েছে’’।
"আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য সবকিছু করব," ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেন।
ইউক্রেনের এই নেতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক ফোনালাপের পর টুইট করেন, বিমান প্রতিরক্ষাই তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং তিনি জি-৭ থেকে '’কঠোর অবস্থান’'
নিয়ে রাশিয়ার হামলার প্রতিক্রিয়া দেখতে নেতৃত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে আছেন।
এর আগে বাইডেন এবং পশ্চিমা মিত্ররা মস্কোর আগ্রাসন প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্য
ইউক্রেনের বাহিনীকে সামরিক সহায়তা পাঠানো অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সোমবার এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, '’রাশিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আবারও
ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের অবৈধ যুদ্ধের চরম নিষ্টুরতারই প্রমাণ দেয়। ইউক্রেনীয় বাহিনীকে তাদের দেশ ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করব।‘’
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, এজেন্স ফ্রান্স-প্রেস এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।