অর্থনৈতিক পক্ষাঘাত এবং দেশব্যাপী একটি মানবিক সংকটের মুখোমুখি, আফগানিস্তানকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিদেশী সহায়তা পাওয়ার আগে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে দেশটি কতটুকু ঋণী সে সম্পর্কে হালনাগাদ থাকতে হবে। দেশটির কাছে কত পাওনা এবং কার ঋণ পরিশোধ করা উচিত তা স্পষ্ট নয়।
বিশ্বব্যাংকে কোনো প্রতিনিধিত্ব না থাকা সত্ত্বেও, ডি ফ্যাক্টো তালিবান সরকার জুন মাসে আফগানিস্তানের ঋণের জন্য ব্যাংককে প্রায় ৫০ লক্ষ ডলার প্রদান করেছে।
নিউইয়র্কে একটি সুইস ব্যাঙ্কে আটক করা ৩০৫ কোটি ডলার সমপরিমান সম্পদ গত মাসে, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং কর্মকর্তারা বলেছেন যে কিছু তহবিল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে আফগানিস্তানের ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
আফগানিস্তানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি টমাস ওয়েস্ট গত মাসে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে এক আলোচনার সময় দেশের অর্থনীতি রক্ষা করার জন্য আফগান সম্পদের সম্ভাব্য ব্যবহার ব্যাখ্যা করার সময় বলেছিলেন যে বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা "আফগানিস্তানে মৌলিক পরিষেবাগুলির জন্য অনেক বড় সম্পদ অবমুক্ত করবে"।
বিশ্বব্যাংকের প্রাক্তন আফগান প্রতিনিধি জিয়া-উ-রহমান হালিমি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, “সাহায্য পাওয়া একটি বকেয়া বা বকেয়া ঋণ হওয়ার আগে নির্ধারিত ঋণ পরিশোধের উপর নির্ভরশীল। একটি খুব অল্প পরিমাণ বকেয়া ঋণের কারণে একটি বিশাল পরিমাণ সহায়তা আটকে যেতে পারে।"
বিশ্বব্যাংকের একজন মুখপাত্রকে আফগানিস্তানের বিদ্যমান বকেয়ার পরিমাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার উত্তর দেননি তবে ২০১৮ সালের একটি প্রতিবেদনের দিকে ইঙ্গিত করেছেন যা বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কাছে দেশটির মোট ঋণ প্রায় ১০০ কোটি ডলার।
আনোয়ার উল-হক আহাদি, যিনি একজন প্রাক্তন আফগান অর্থমন্ত্রী তিনি এখন আফগান তহবিল পরিচালনার জন্য সুইস ব্যাংকের চার সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডে বসেছেন। তিনি সম্প্রতি ভয়েস অফ আমেরিকার আফগান সার্ভিসকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে সদস্যপদ রয়েছে যাদের সদস্যতা ফি রয়েছে। যদি তালিবান সেই ফিগুলি না দেয়, তবে তাদের আফগান তহবিল থেকে অর্থ প্রদান করা যেতে পারে।”
আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন মুখপাত্রকে বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের বকেয়া পরিশোধ করতে তা্লিবানের ইচ্ছা সম্পর্কে ভয়েস অফ আমেরিকার পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তার জবাব দেননি।
বেশিরভাগ পশ্চিমা দাতাদের মতো, বিশ্বব্যাংক আফগান রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলির সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে এবং পরিবর্তে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলির মাধ্যমে সহায়তা কর্মসূচি এবং তহবিল পরিচালনা করেছে।