রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে সামরিক প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদানের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির একটি অনুরোধ বিবেচনা করছে অস্ট্রেলিয়া।
নেটোর বাইরে ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশি সামরিক সহায়তা করেছে অস্ট্রেলিয়া। তারা ক্ষেপণাস্ত্র এবং সাঁজোয়া কর্মী বাহকের পাশাপাশি মানবিক সরবরাহও পাঠিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে রুশ প্রতিষ্ঠান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ এর দেশটির রাজনৈতিক এবং সামরিক নেতাদের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি স্পষ্ট যে সংঘাত “দীর্ঘায়িত” হবে এবং ক্যানবেরা সরকার “আমরা কীভাবে দীর্ঘমেয়াদে ইউক্রেনের সাথে দাঁড়াবো তা নিয়ে কাজ করছে।”
ফেব্রুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়া প্রায় ৯ হাজার ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে ভিসা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় দেশসমূহ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে “নির্বান্ধব দেশের” তালিকায় রেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেছেন, ক্যানবেরা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যেকোনো প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র ইউক্রেনের সীমানার বাইরে ঘটবে।
এই পদক্ষেপটি ক্যানবেরার বিরোধী আইন প্রণেতাদের দ্বারা সমর্থিত হবে। তবে বিরোধীদলীয় নেতা পিটার ডাটন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, ইউক্রেনে অস্ট্রেলীয় বাহিনী মোতায়েন করা “একটি উস্কানিমূলক কাজ” হবে।
ইউক্রেনীয় দলগুলো এই সপ্তাহে হোবার্ট, মেলবোর্ন এবং সিডনিতে শান্তি সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
তারা চায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধ বন্ধে আরও কিছু কার্যক্রম হাতে নিক।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেশন অফ ইউক্রেনিয়ান অর্গানাইজেশনের স্টেফান রোমানিউ এক বিবৃতিতে বলেছে,“(রাশিয়ার বিরুদ্ধে) বর্তমান নিষেধাজ্ঞা মানবহত্যা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”