ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দুইজন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ মুসলিম শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী মতামত প্রকাশ করেছে। এটি একটি বিতর্কিত বিষয় যা এই বছরের শুরুতে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের একটি সূচক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কর্ণাটক রাজ্য শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। হিজাব পরিধান করা ইসলামের অপরিহার্য অনুষঙ্গ নয় বলে অন্য একটি আদালত সরকারি আদেশ বহাল রাখার পরে ওই আদেশকে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার প্রদত্ত ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা রায়গুলোতে একজন বিচারক বলেছেন, কর্তৃপক্ষ স্কুলগুলোতে ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক করতে পারে। অন্যজন বলেন যে হিজাব পরার অধিকার রাষ্ট্র দ্বারা সীমিত করা যায় না।
আবেদনকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যে, মেয়েদের হিজাব পরতে বাধা দেয়া হলে তারা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।
বিষয়টি এখন নিষ্পত্তির জন্য তিন বা ততোধিক বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে কর্ণাটকের উডুপি জেলার একটি সরকারি স্কুল মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে ক্লাসে যেতে বাধা দেয়ার পরে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। মুসলিম ছাত্রীরা বিক্ষোভ করার পর হিন্দু কর্মীরা পালটা বিক্ষোভ করলে বিষয়টি ধর্মীয় মাত্রায় রূপ নেয়। হিন্দু কর্মীদের দাবি, তাদেরকেও গেরুয়া পরে স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া উচিত। গেরুয়া হিন্দু ধর্মীয় একটি প্রতীক।
শীর্ষ আদালত ইস্যুটি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই সম্ভবত আগামী মাসগুলোতে ভারতকে উত্তাল রাখবে।