অস্ট্রেলিয়া শুক্রবার থেকে বাধ্যতামূলক করোনাভাইরাস আইসোলেশনে থাকার নিয়মের পরিসমাপ্তি ঘটাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কোভিডের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষণ দেখা গেছে। ক্যানবেরায়, একটি সংসদীয় স্বাস্থ্য কমিটি জানানো হয়েছে ক্রমাগত অসুস্থতার সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন এমন বহু রোগী ক্লিনিকগুলিতে যোগাযোগ করছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় কভিড-১৯-এ আক্রান্তের ঘটনা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে তবে সংক্রমণ পরবর্তী অসুস্থতা এখনও অনুভূত হচ্ছে।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি তিনজন প্রাপ্তবয়স্কের একজনের মধ্যে যাদের শরীরে চার সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে সাধারণভাবে তাকেই তথাকথিত 'লং কোভিড'-এর নমুনা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
ঐ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অসম্ভব ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়া, হার্ট পেলপিটিশন, জয়েন্ট এবং পেশীর ব্যথার পাশাপাশি অনিদ্রা এবং কাশি। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে লং কোভিডে আক্রান্ত অনেক রোগী "মানসিক ভাবে খারাপ" অনুভব করেছেন। ক্যানবেরার পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদের স্বাস্থ্য কমিটি বুধবার দীর্ঘমেয়াদী কোভিড এবং বারবার কোভিড সংক্রমণ সংক্রান্ত অনুসন্ধান শুরু করেছে।
ঐ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান আইনপ্রণেতা মেলিসা ম্যাকিনটোশ ক্যানবেরায় সংবাদদাতাদের বলেন, তদন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সম্পন্ন হবে।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে, নারী, তরুণ অস্ট্রেলীয় এবং মধ্যম আয়ের পরিবারে বসবাসকারীদের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ।
অস্ট্রেলিয়া শুক্রবার থেকে কোভিড-১৯-এ পজিটিভ পরীক্ষা করা ব্যক্তিদের জন্য বাধ্যতামূলক পাঁচ দিনের আইসোলেশন শেষ করবে যা দেশের সর্বশেষ অবশিষ্ট রোগ-নিয়ন্ত্রণ বিধিনিষেধগুলির মধ্যে একটি।
অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন করোনাভাইরাস নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা ছিল। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বেশিরভাগ বিদেশী নাগরিকদের জন্য তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে দীর্ঘতম লকডাউন ছিল অস্ট্রেলিয়া তাদের একটি।
সরকারি উপাত্ত অনুযায়ী, এখন প্রতি সপ্তাহে গড়ে প্রায় ৫ হাজার কোভিড সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে যা ২০২২ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ছিল ১ লক্ষ ১০ হাজারেরও বেশি।