ফিলিস্তিনি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সামরিক বাহিনী শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি শরণার্থী শিবিরে গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে। সেসময় তারা গুলি চালিয়ে দুই জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে।
পরে শুক্রবার, সৈন্যরা একটি বসতির কাছে হামলা চালিয়ে এবং গুলি করে একজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। সেনাবাহিনী বলেছে, এতে একজন ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিক আহত হয়।
এটি ছিল সর্বসাম্প্রতিক রক্তপাত। ২০১৫ সালের পর থেকে এই অঞ্চলে এই বছরটি হয়ে উঠেছে সবচেয়ে মারাত্মক ।
ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী জেনিন শরণার্থী শিবিরে নিহত দু’জনকেই তাদের সদস্য বলে দাবি করেছে। যদিও তাদের মধ্যে একজন যিনি হাসপাতালের চিকিৎসক তার মৃত্যুর পরিস্থিতি নিয়ে পরস্পরবিরোধী বিবৃতি পাওয়া গেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ডাঃ আবদুল্লাহ আল-আহমেদ কর্তব্যরত ছিলেন, যখন তাকে গুলি করা হয়েছিল তখন তিনি তার হাসপাতালের বাইরে আহতদের চিকিৎসা করছিলেন।
ধর্মনিরপেক্ষ ফাতাহ পার্টির একটি সশস্ত্র শাখা আল-আকসা শহীদ ব্রিগেড দাবি করেছে যে তিনি তাদের একজন সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুর ঘোষণার একটি পোস্টারে দলটি বলেছে, তিনি "মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে" ইসরাইলি বাহিনীর সাথে "একটি সশস্ত্র সংঘর্ষে" মারা গেছেন। পোস্টারে তাকে দুটি অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে নিয়ে দেখা গেছে।
সরকারি ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, একটি অ্যাম্বুলেন্স ক্রসফায়ারে আটকে পড়ায় দুই প্যারামেডিকসহ লড়াইয়ে পাঁচজন আহত হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি অ্যাম্বুলেন্স ক্যাম্পের সরু গলিতে আটকে থাকা একটি মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছে তখন চারপাশে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে যে তারা শুক্রবার একজন হামাস জঙ্গি, যার সন্ধান চালানো হচ্ছিল তাকে গ্রেপ্তার করতে, জেনিনে প্রবেশ করেছিল। সে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলা চালিয়েছিল। তারা আরও বলেছে, দিয়া মুহাম্মদ ইউসেফ সালামা, (২৪) একটি এম-১৬ অ্যাসল্ট রাইফেলে সজ্জিত ছিল, যখন ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী তাকে এবং অন্য দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেনেহ শুক্রবারের গুলি বর্ষণের ঘটনাকে "বিচারবহির্ভূত হত্যা" বলে নিন্দা করেছেন।
তিনি বলেন, ইসরাইল সরকার সবরকম সীমা অতিক্রম করেছে।