বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি চুক্তি সই হয়েছে। রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে শুরু হয়ে ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত এ আলোচনা চলে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অপরদিকে ব্রুনাইয়ের পক্ষে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ। আলোচনার পর, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি চুক্তি সই হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর প্রকাশ করা এক যৌথ বিবৃতিতেবলা হয়েছে, “বাংলাদেশের জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং জ্বালানির একটি স্থিতিশীল ও মূল আঞ্চলিক রপ্তানিকারক হিসেবে ব্রুনাই দারুসসালামের অবস্থানের ভিত্তিতে দুই নেতা বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে; বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করতে সম্মত হয়েছেন।”
দুই নেতার আলোচনার পর স্বাক্ষরিত চুক্তিটি হলো, বিমান সেবা চুক্তি। আর অন্য তিনটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক হলো; বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক এবং নাবিকদের প্রশিক্ষণ, সনদ, ওয়াচকিপিং এর মান সংক্রান্ত ১৯৭৮ সালের আন্তর্জাতিক কনভেনশনের অধীনে ইস্যুকৃত সনদপত্রের স্বীকৃতির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আলোচনায়, দুই পক্ষই বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং দ্বিমুখী বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য কাজ করার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। বর্তমানে যা সম্ভাবনার চেয়ে অনেক নিচে অবস্থান করছে।”
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ব্রুনাই দারুসসালাম প্রস্তাবটি নোট করেছে এবং উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিনিয়োগ সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছে। ব্রুনাই দারুসসালাম বাংলাদেশকে তার অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যমূলক কর্মকাণ্ড যেমন খাদ্য, কৃষি এবং অ্যাকুয়াকালচারে বিনিয়োগের কথা বিবেচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুলতান পৌঁছালে টাইগার গেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকালে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ব্রুনাইয়ের সুলতান ঢাকায় আসেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সুলতানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।