তেহরানের এভিন কারাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে আটজন হয়েছে বলে ইরানের বিচার বিভাগ সোমবার জানিয়েছে।
ইরানে দেশ জুড়ে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই শনিবার ঐ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আন্দোলনটি বর্তমানে সেটির পঞ্চম সপ্তাহে রয়েছে। ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর জেরে বিক্ষোভগুলো আরম্ভ হয়। যথাযথভাবে হিজাব না পরার কারণে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশী হেফাজতেই মারা যান আমিনি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, কয়েক ঘন্টা পর আগুন নেভানো সম্ভব হয় এবং কোন বন্দিই পালাতে পারেনি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলে, “এভিন কারাগারের খবর আমরা জরুরিভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। [ইরানে] আমাদের সুরক্ষা প্রদানকারী দেশ হিসেবে আমরা সুইজারল্যান্ডের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। অন্যায়ভাবে আটক আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে ইরান সম্পূর্ণরূপে দায়বদ্ধ, যাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিৎ।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার বলেন, ইরানের “সরকার অত্যন্ত অত্যাচারী”। তিনি আরও বলেন যে, “রাস্তায় মিছিলরত মানুষজনের প্রতি [তার] ব্যাপক শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে।”
এভিন কারাগারে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অভিযোগের সম্মুখীন ব্যক্তিদের আটক রাখা হয়। কারাগারটিতে দ্বৈতনাগরিকত্বের বন্দিরাও রয়েছেন। অধিকার সংস্থাগুলো কারাগারটির বিরুদ্ধে বন্দি নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন। কারাগারটি রাজনৈতিক বন্দিদের আটক রাখার একটি জায়গা হিসেবে অনেকদিন ধরেই পরিচিত। এছাড়াও পশ্চিমাদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে, এমন মানুষদেরও সেখানে আটক রাখা হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আলোচনায় এমন আটক ব্যক্তিদের ইরান দেনদরবারের গুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে।
শাহাব ডেলিলি একজন দ্বৈতনাগরিক, যিনি এভিন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তার স্ত্রী, নাহিদ ডেলিলি ভিওএ-র ফারসি বিভাগকে বলেন যে, তিনি তার স্বামীর সাথে কথা বলেছেন এবং তার স্বামী সুস্থ রয়েছেন।