অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শি জিনপিং এর নেতৃত্বে ‘খুবই ভিন্ন’ চীনের উত্থান: ব্লিংকেন


ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন (১৭ অক্টবর, ২০২২)
ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন (১৭ অক্টবর, ২০২২)

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন (পিআরসি) আগামী বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের প্রতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, কিন্তু “পরিষ্কারভাবে বৈরীতামূলক বিষয়গুলোর উত্থান” সত্ত্বেও দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে “পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়” রয়েছে, যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে তুলে ধরা।

ব্লিংকেন বলেন, “আমরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে খুবই ভিন্ন একটি চীনের উত্থান দেখতে পাচ্ছি। দেশের ভেতর তারা আরও শোষণমূলক হয়ে উঠেছে। বহির্বিশ্বের প্রতি তারা আগ্রাসী এবং অনেক ক্ষেত্রেই, এই মনোভাব আমাদের নিজেদের স্বার্থ ও মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।” হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

তবে ব্লিংকেন জানান, জলবায়ু ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো “বড় সমস্যাগুলোর” সমাধান করা “অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে”, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন “প্রকৃতপক্ষে যৌথ ভাবে ” একে অপরকে সহযোগিতা না করে।

রবিবার বেইজিংয়ে ক্ষমতাসীন সিসিপি দলের প্রায় ২ হাজার ৩০০ জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে দেওয়া বক্তব্যে শি ১৫টি মূল বিষয় ব্যাখ্যা করেন এবং “দৃঢ়তার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা সুরক্ষিত” রাখার অঙ্গীকার করে। একই সঙ্গে তিনি চীনের সামরিক সক্ষমতার আধুনিকায়ন ও “মাতৃভূমির” একীভূতকরণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান। এই উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি তাইওয়ানকে চীনের নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলেছেন।

স্ট্যানফোর্ডে ব্লিংকেন তাইওয়ান প্রণালীতে যেকোনো ধরনের সামরিক সংঘর্ষের ভয়াবহ পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি কন্টেইনার জাহাজ ও টনের হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজগুলোর ৮৮ শতাংশ এ বছর তাইওয়ান প্রণালীর মধ্য দিয়ে যাতায়াত করেছে।

বেশ কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে জানিয়েছে, যে ১৯৭৯ সালে চীনের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক তৈরির সময় দেশটির প্রত্যাশা ছিল যে তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট অনুযায়ী, “তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া অবলম্বন” করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রও তাইওয়ানের স্বাধীনতার উদ্যোগকে সমর্থন করে না।

XS
SM
MD
LG