একটি নতুন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আফগানিস্তানের তালিবান শাসকদের বিরুদ্ধে অশান্ত উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জশির প্রদেশে গত মাসের সামরিক অভিযানের সময় ২৭ জন বিরোধী যোদ্ধাকে আটক অবস্থায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক অলাভজনক সেন্টার ফর ইনফরমেশন রেজিলিয়েন্স দ্বারা পরিচালিত একটি ওপেন-সোর্স প্রকল্প আফগান উইটনেস (এডব্লিউ), অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখেছে এবং মঙ্গলবার তার ফলাফল প্রকাশ করেছে, যে ফলাফল তালিবানের দাবির বিপরীত।
নিহতরা ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (এনআরএফ) এর সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে, যারা এক বছরেরও বেশি সময় আগে ইসলামি গোষ্ঠী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে তালিবানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ চালিয়ে আসছে।
এডাব্লিউ গবেষকরা দারা জেলা এলাকায় ১০ জনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সাথে তালিবান যোদ্ধাদের একটি দলকে "নির্দিষ্টভাবে লিঙ্ক" করার জন্য কয়েক ডজন সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও এবং ছবি বিশ্লেষণ করেছেন।
"পাঁচজন লোক - একজন জল্লাদদের মুখোমুখি হয়ে হাঁটু গেড়ে বসে ছিল , অন্যদের মুখ অন্যপাশে ছিল। সবার চোখ বাঁধা এবং পিঠের পিছনে হাত বাঁধা। ২০ সেকেন্ডের মধ্যে তাদের কয়েকবার গুলি করা হয়। তালিবান যোদ্ধাদের একটি বড় দল িই হত্যাকান্ডকে উদযাপন করে ধ্বনি দেয়।” প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিবান যোদ্ধাদের গ্রুপটিতে আরও পাঁচজন লোক ছিল যাদের পরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
এডব্লিউ গবেষকরা পাঞ্জশিরে তালিবান আক্রমণের ফলে আরও ১৭টি মৃত্যুদণ্ড এবং ৩০ জনের মৃত্যুর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন, যার ফলে মোট নিহতের সংখ্যা ৫৭ জনে পৌঁছেছে"। এ বিষয়গুলো প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত বিচারে মৃত্যুদণ্ডের অভিযোগগুলি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আসে, যখন তালিবান একটি বিবৃতিতে ঘোষণা করে যে তাদের বাহিনী ৪০ জন সশস্ত্র বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে এবং কমপক্ষে ১০০ জনকে বন্দী করেছে দারা সহ পার্বত্য পাঞ্জশিরের কয়েকটি জেলায় একটি "বড় আকারের বিশুদ্ধিকরণ অভিযানের " এর অংশ হিসাবে । এনআরএফ কর্মকর্তারা সেই সময়ে তাদের অন্তত আটজন যোদ্ধার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন, তালিবানের দাবিকে অতিরঞ্জিত বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
তালিবান কর্মকর্তারা ঘোষণা করেছেন যে প্রতিরোধকারী যোদ্ধাদের সংক্ষিপ্ত বিচারে মৃত্যুদণ্ডের অভিযোগ তদন্তের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।