অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর হয়ে ভারতীয় ট্রানজিট পণ্যের নিয়মিত চলাচল চূড়ান্ত পর্যায়ে


বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর হয়ে ভারতীয় ট্রানজিট পণ্যের নিয়মিত চলাচল চূড়ান্ত পর্যায়ে
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর হয়ে ভারতীয় ট্রানজিট পণ্যের নিয়মিত চলাচল চূড়ান্ত পর্যায়ে

ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করার চুক্তিটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও ভারত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তিটি সই হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ট্রায়াল রান সমাপ্ত হওয়ার পর এই চুক্তির অধীনে পণ্য পরিচালনা ও নিয়মিত চলাচলের জন্য বাংলাদেশ সরকার এখন প্রয়োজনীয় স্থায়ী আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।

সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয় তা বাস্তবায়নে এটি এক ধাপ এগিয়ে রাখবে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয় থেকে বাংলাদেশ হয়ে পরিবহন করে নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রানজিট কনটেইনার বহনকারী ‘এমভি ট্রান্স সমুদেরা’ নামের একটি জাহাজ আজ বুধবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে।

এই চলাচল হচ্ছে চুক্তিটি কার্যকর করার লক্ষ্যে গৃহীত ট্রায়াল রানের অংশ।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, এই ট্রায়াল রান ডাউকি-তামাবিল-চট্টগ্রাম রুটে টাটা স্টিল এবং সিজে ডার্কল লজিস্টিকস লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।

চুক্তির অধীনে পণ্য পরিবহনের জন্য আটটি অনুমোদিত রুট রয়েছে-চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে আগরতলা হয়ে আখাউড়া, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে ডাউকি হয়ে তামাবিল, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে সুতারকান্দি হয়ে শেওলা, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে শ্রীমন্তপুর হয়ে বিবিরবাজার এবং ফিরতি পথে আরও চারটি রুট।

২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য একটি এসওপি স্বাক্ষর করা হয়।

হাইকমিশন আরও জানিয়েছে, চট্টগ্রাম-আখাউড়া-আগরতলা রুটে এই চুক্তির অধীনে প্রথম ট্রায়াল মুভমেন্ট ২০২০ সালের জুলাই মাসে সফলভাবে পরিচালিত হয়। যেখানে চারটি কন্টেইনার, যার দুটির প্রতিটিতে টিএমটি ইস্পাত ও ডাল নিয়ে কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আইসিপি আগরতলায় পৌঁছানো হয়।

এই চুক্তির অধীনে পণ্যের ট্রানজিট বা স্থানান্তর ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য খরচ ও সময় উভয়ই কমিয়ে দেবে।

ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি বাংলাদেশের লজিস্টিক ও সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির (বীমা, পরিবহন এবং ফিনান্স ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি) জন্য অর্থনৈতিক লাভও তৈরি করবে। কারণ শুধুমাত্র বাংলাদেশি ট্রাকগুলো পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হবে। ভারতীয় পণ্য পরিবহনের সর্বশেষ ট্রায়াল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তির অধীনে অনুমোদিত সকল রুটে সব ট্রায়াল রানের সমাপ্তি চিহ্নিত করে৷

XS
SM
MD
LG