জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মকর্তারা ইরানের সরকার বিরোধী বিক্ষোভকে সহিংসভাবে দমন করার ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। তারা ইরানি কর্মকর্তাদের প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের মারাত্মক দমন-পীড়ন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ১ মাস পেরিয়ে গেছে। তার মৃত্যু ইরান সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
ভুলভাবে হিজাব পরার জন্য আমিনিকে তথাকথিত নৈতিকতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর ৩ দিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর তাৎক্ষণিক গোলাবারুদ নিক্ষেপ, ছোট ছোট ধাতব গুলির আঘাত এবং জীবন বিনাশী প্রহারে ২৩ জনের মতো শিশু নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, স্কুলেও অভিযান চালানো হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে শিশুদের আটক করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় বলেছে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অব্যাহত অপ্রয়োজনীয় এবং অসম বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। তারা অবিলম্বে নির্বিচারে আটক সকলের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী হোসেইনি খামেনি এই সহিংসতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলকে দায়ী করেছেন।তিনি দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইরানের ‘অগ্রগতি’ বন্ধ করার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ করেছেন।
সরকার বলেছে আমিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এবং তার ওপর কোনো অত্যাচার করা হয়নি। আমিনির পরিবার বলেছে, তার হৃদরোগের কোনো ইতিহাস নেই এবং তার মৃতদেহে ক্ষত ও প্রহারের চিহ্ন ছিল।
শামদাসানি বলেছেন, ইতোমধ্যে ইরানে নিরবচ্ছিন্নভাবে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে এবং তার কার্যালয় এখনো হামলা, অভিযান, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং হত্যার সংবাদ পাচ্ছে।