অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পার্বত্য চট্টগ্রামে আটক ১০ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত


বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে আটক করা সাত জঙ্গি ও কুকি-চিন গ্রপের তিন সদস্যদের রাঙ্গামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে,তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তারের আদালতে তাদের হাজির করা হয়।

কোর্ট পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানায়, “সাত জঙ্গি ও কুকি-চিন গোষ্ঠির তিন সদস্যকে রাঙ্গামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে, আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়নি । কয়েকদিন পর আবার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে, তখন হয়ত রিমান্ডের আবেদন করা হবে।”

এর আগে, পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলার সীমান্তবর্তী মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া' ও কুকি-চিন ন্যাশনাল পার্টির (কেএনএফ) সদস্যদের আটক করা হয়।

যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ব্যক্তিরা হলেন; সুনামগঞ্জের সৈয়দ মারুফ আহমদ ওরফে মানিক(৩১), পিরোজপুরের ইমরান হোসাইন ওরফে সাওন(৩১), ঝিনাইদহের কাওসার ওরফে শিশির(৪৬), সিলেটের জাহাঙ্গীর আহম্মেদ ওরফে জনু(২৭), বরিশালের মো. ইব্রাহিম ওরফে আলী(১৯), সিলেটের আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাপ্পি (২৩), সুনামগঞ্জের রুফু মিয়া(২৬), বান্দরবানের জৌথান স্যাং বম (১৯),স্টিফেন বম(১৯) এবং মাল সম বম (২০)।

অভিযানকালে, প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে ৯টি বন্দুক, বন্দুকের ৫০ রাউন্ড গুলি, ৬২ টি কার্তুজ-এর বাক্স, ছয়টি হাত বোমা একটি স্থানীয়ভাবে তৈরি পিস্তল ওয়াকিটকি সেট এবং বেশ কিছু অস্ত্র তৈরির রঞ্জাম উদ্ধার করা হয় বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

XS
SM
MD
LG