জার্মানি ঘোষণা করেছে যে তারা আফগানিস্তান থেকে ১০০০ ঝুঁকিপূর্ণ আফগানকে তাদের পরিবার সহ নিয়ে আসবে, যা কিনা বেশ কঠিন হবে। একজন আফগান আইনজীবী বলেছেন, আফগানদের জন্য আফগানিস্তান ত্যাগ করা ক্রমবর্ধমানভাবে কঠিন হয়ে উঠছে।
একটি যৌথ বিবৃতিতে, জার্মান পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সোমবার এই নতুন মানবিক কর্মসূচিটি ঘোষণা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "পরিকল্পনাটি হল প্রতি মাসে আফগানিস্তান থেকে তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে বিশেষ ঝুঁকিতে থাকা প্রায় ১০০০ আফগানকে জার্মানিতে নিয়ে আসা অনুমোদন করা।”
আফগানিস্তানের আইনজীবী ইউনিয়নের প্রাক্তন উপ-প্রধান আবদুল সুবহান মিসবাহ বলেছেন, "এটি খুব চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে।" সুবহান মিসবাহ আফগানিস্তান থেকে বিচারক এবং প্রসিকিউটরদের সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় জড়িত আছেন, তিনি আরো বলেছেন যে "এটি স্পষ্ট নয় কাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, এবং তালিবান শাসিত আফগানিস্তান থেকে জনগণকে বের করে আনা সহজ হবে না।”
জার্মান সরকার বলেছে যে নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ নারী ও মানবাধিকার কর্মী, প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের সরিয়ে নেয়া হবে। এই প্রোগ্রামে আফগানিস্তানে লিঙ্গ, যৌন অভিমুখীতা অথবা ধর্মের কারণে নির্যাতিত ব্যক্তিদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মিসবাহ বলেন, সাবেক সরকারের অনেক কর্মচারী এবং সুশীল সমাজের সদস্যরা তাদের দেশ ছাড়তে চান।
তিনি বলেন, "বেশিরভাগ মানুষ চলে যেতে চায়। তিনি আরো বলেন, “কি মানদণ্ডের ভিত্তিতে লোকেদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে? আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে আসতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের কীভাবে তারা সাহায্য করবে? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।”
তিনি বলেন, পাসপোর্ট এবং ভিসা পেতে তাদের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি, আফগানদের তৃতীয় কোনো দেশে যেতে হবে কারণ আফগানিস্তান থেকে জার্মানিতে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই।
মিসবাহ বলেন, "প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য জার্মান সরকারকে প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে আলোচনা করতে হবে।"
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ক্রিস্টোফার বার্গার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন যে তার সরকার প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য কাজ করছে।
২০২১ সালের আগস্টে কাবুলের পতন এবং তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে জার্মানি ২৬,০০০ আফগানকে জার্মানিতে নিয়ে এসেছে।
বার্গার বলেছেন নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য, জার্মান কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই সেখানকার সংস্থাগুলির সাথে কাজ করবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে সহায়তা করবে, তবে জার্মান সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জার্মানিতে আসার জন্য কে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে এবং কার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।”