ভারতে দুই বছর কারাভোগ শেষে স্বদেশে ফিরলেন ছয় বাংলাদেশি তরুণী। তাদের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
মঙ্গলবার(২৫ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ, পাচার হওয়া ছয় তরুণীকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
স্বদেশে ফিরে আসা ছয়জন হলেন; খুলনার খালিশপুরের আবুল হোসেনের মেয়ে তানিয়া আক্তার মিম (২১), বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শ্রীফুলতলার আশরাব শেখের মেয়ে আসমা খাতুন (১৭), নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ছোট কালিয়া গ্রামের অলিয়ার রহমানের মেয়ে রিপা খানম (১৮), যশোর সদর উপজেলার সাজোয়ালী গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে শারমিন আক্তার (১৭), ঢাকার তেঁজগাও থানার মধ্যকুনি পাড়ার টুকু মিয়ার মেয়ে রাশিদা বেগম (১৭), ঢাকার খিলগাঁও থানার নুরজাহান মেনশনের আলমগীর হোসেনের মেয়ে প্রিয়া আক্তার (১৯)।
বেসরকারি সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন জানান, “দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই ভালো কাজের আশায় তারা ভারতে গিয়েছিলেন। এরপর, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের পুলিশ তাদের আটক করে কারাগারে পাঠায়। দুই বছর পর, দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পান।”
ফেরত আসা ব্যক্তিরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে, তবে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান মুহিত হোসেন।
এ বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, “ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করেছে।”
