ইরানে এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভগুলো শুক্রবারও অব্যাহত ছিল। এদিন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জাহেদান শহরে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার ঐ শহরে বিক্ষোভকারীরা “স্বৈরাচারীর” পতনের আহ্বান করছেন। এর মাধ্যমে তারা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে বুঝিয়েছেন। এছাড়াও তারা বাসিজ আধাসামরিক বাহিনীর পতনেরও আহ্বান জানান। ঐ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জাহেদান শহরটি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সাথে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
এদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে যে, জাহেদানে ৩০ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা বাহিনী সরকারবিরোধী মিছিলে চড়াও হলে, তাতে ৬৬ জন ব্যক্তি নিহত হন।
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে যে, ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত আইআরএনএ সংবাদ সংস্থাটি শুক্রবার ঐ প্রদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর এক বিবৃতি প্রকাশ করে, যাতে বলা হয় যে, জাহেদানের পুলিশ প্রধান ও আরেক পুলিশ কর্মকর্তাকে ৩০ সেপ্টেম্বরের প্রতিবাদের সময়কার ঘটনাগুলোর সূত্র ধরে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরের প্রধান মুখপাত্র সংবাদকর্মীদের বলেন যে, তারা এমন তথ্য পেয়েছেন যে, ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারকৃত বিক্ষোভকারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে, এবং তাদের পরিবারগুলোকে হয়রানি করা হচ্ছে।
জেনেভায় এক ব্রিফিংয় চলাকালীন এক প্রশ্নের উত্তরে, মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতরের মুখপাত্র, রাভিনা শামদাসানি বলেন, তাদের দলের কাছে একাধিক বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে এমন প্রতিবেদন এসেছে যে, কর্তৃপক্ষ আহত বিক্ষোভকারীদের হাসপাতাল থেকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও আটক বিক্ষোভকারীদের সাথে দুর্ব্যবহারের খবরও পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আটককেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা।
তিনি বলেন যে, মানবাধিকার দফতরটি ইরানের প্রতি এটি নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে সকল বিক্ষোভকারীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।