ইসলামিক স্টেটের পতনের পর বছরের পর বছর ধরে সিরিয়ার জঘন্য আটক শিবিরে বন্দি চারজন নারী ও ১৩ জন শিশুকে শনিবার অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত আনা হয়েছে।
কুখ্যাত আল-হোল ও রোজ শিবির থেকে প্রায় ২০ জন অস্ট্রেলীয় নারী ও ৪০ জন শিশুকে – যারা পরাজিত আইএস যোদ্ধাদের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা, তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য পরিকল্পিত মিশনের মধ্যে এটিই প্রথম ।
এই দলের মধ্যে থাকা একজন কামালে দাববুসি বলেন, দলের কিছু বাচ্চাদের চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।
দাববুসি বলেন, তার মেয়ে মরিয়মকে (৩১) তার মৃত স্বামী সিরিয়ায় যেতে 'বাধ্য' করেছে এবং তিনি অস্ট্রেলিয়ার জন্য হুমকি নন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও'নিল বলেছেন, প্রত্যাবাসন অনুমোদনের আগে সরকার " বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা, সম্প্রদায় ও কল্যাণমূলক বিষয়" বিবেচনা করেছে।
তিনি সিডনিতে ১৭ জনের দলটির অবতরণের পরে একটি বিবৃতিতে বলেন,
"এই নারী এবং তাদের শিশুদের প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্তটি জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির বিস্তারিত কাজের পরে পৃথক মূল্যায়নের মাধ্যমে নেয়া হয়েছে। "
অভিবাসনের প্রতি তাদের কট্টরপন্থার জন্য দীর্ঘদিন দেশটিতে প্রত্যাবাসন একটি রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত বিষয়।
অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল বিরোধী দল প্রত্যাবাসনের বিরুদ্ধে তর্ক করার সময় বারবার জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক সোফি ম্যাকনিল বলেছেন, “ দীর্ঘ দিন থেকে এটি একটি প্রত্যাশিত পদক্ষেপ”।
ম্যাকনিল বলেন, "বছরের পর বছর ধরে, অস্ট্রেলিয়ান সরকার উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় তালাবদ্ধ শিবিরগুলিতে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তার নাগরিকদের পরিত্যাগ করেছে। অস্ট্রেলিয়া তার নাগরিকদের এই সুশৃঙ্খল প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে সন্ত্রাস দমনে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে পারে। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু যারা কখনোই আইসিসের অধীনে বসবাস করাটা বেছে নেয়নি। "
২০১৯ সালে আইএসের "খিলাফতের" পতনের পর থেকে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিরিয়ার আল-হোল ও রোজ ডিটেনশন ক্যাম্পে অস্ট্রেলীয় নারী ও শিশুরা বসবাস করছে।