অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গুয়ানতানামো থেকে এক ‘চিরবন্দি’কে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র


যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাদের পর্যালোচনা করা, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখের এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কিউবার গুয়ানতানামো বে নৌঘাঁটিতে অবস্থিত ক্যাম্প সিক্স আটককেন্দ্রের কাঁটাতারের বেঁড়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উড়ছে। (ফাইল ফটো)
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাদের পর্যালোচনা করা, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখের এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কিউবার গুয়ানতানামো বে নৌঘাঁটিতে অবস্থিত ক্যাম্প সিক্স আটককেন্দ্রের কাঁটাতারের বেঁড়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উড়ছে। (ফাইল ফটো)

কিউবাতে অবস্থিত ও যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত, গুয়ানতানামো বে’র গোপন আটককেন্দ্রে থাকা অবশিষ্ট বন্দিদের মধ্য থেকে, সবচেয়ে বয়স্কদের একজনকে মুক্তি দিয়ে পাকিস্তানে হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক সংক্ষিপ্ত ঘোষণায়, ৭৪ বছর বয়সী সাইফ উল্লাহ পারাচা’র নিজ দেশে ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ঐ ঘোষণাতে বলা হয়, “আমরা আনন্দিত যে বিদেশে আটক একজন পাকিস্তানি নাগরিক অবশেষে তার পরিবারের সাথে আবার মিলিত হয়েছেন।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আর, পারাচার হস্তান্তরকে একটি “দায়িত্বশীল হস্তান্তর” হিসেবে বর্ণনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলে যে, আমেরিকার নিরাপত্তার প্রতি “এক অব্যাহত ও উল্লেখযোগ্য হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে” তাকে আটক রাখার “আর প্রয়োজন নেই”।

এই পাকিস্তানি নাগরিক, যুক্তরাষ্ট্রের গোপন ঐ কারাগারে বর্তমানে আটক আনুমানিক ৪০জন বন্দির মধ্যে একজন ছিলেন। জানামতে, সেখানকার তিনি ছিলেন বন্দিদের মধ্যে সবচেয়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের একজন।

বিতর্কিত গুয়ানতানামো কারাগারে একসময়ে শত শত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আটক রাখা হয়েছিল। বিদেশী আল-কায়েদা সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের “সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের” সময়ে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর হাতে তারা আটক হয়েছিলেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার ঘটনার কয়েকদিন পর ঐ যুদ্ধ শুরু হয়। কর্মকর্তারা বলেন যে, আল-কায়েদা নেতারা আফগানিস্তানে তাদের নিরাপদ আস্তানা থেকে হামলাটির পরিকল্পনা করেছিল।

চার সন্তানের পিতা পারাচা। ২০০৩ সালের মধ্যভাগে, এফবিআই এর একটি ফাঁদ পাতা অভিযানে ব্যাংকক বিমানবন্দর থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়।এর পর, বিমানে করে তাকে আফগানিস্তানের বাগরামে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র-পরিচালিত সামরিক ঘাঁটিতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ২০০৪ সালে গুয়ানতানামোতে আনা হয়।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তিনি আল-কায়েদার অর্থসংস্থানকারীব্যক্তি; যিনি ৯/১১ এর হামলার অভিযুক্ত পরিকল্পনাকারী, খালিদ শেখ মোহাম্মদকে সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু পারাচা সব সময় বলেছেন যে তিনি নির্দোষ। গুয়ানতানামোর বাকি বন্দিদের মতই, তার বিরুদ্ধে কখনো অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, আর তাকে বিচারের মুখোমুখিও করা হয়নি।

XS
SM
MD
LG