দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘটে, পন্য পরিহন বিঘ্নিত হচ্ছে বাংলাদেশের সিলেট জেলায়। এই ধর্মঘটের বিরূপ প্রভাব পড়েছে স্থানীয় কাঁচাবাজারে। সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে, সোমবার (৩১ অক্টোবর) ভোর থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল ৬টায় ধর্মঘট শেষ হওয়ার কথা।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে জেলার কোনও স্থান থেকে ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান, পিকআপসহ পণ্যবাহী যানবাহন ছেড়ে যায়নি। সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এই ধর্মঘট আহবান করেছে।
ধর্মঘটের কারণে, শত শত পণ্যবাহী ট্রাক জেলার বিভিন্ন টার্মিনালে আটকা পড়েছে। মঙ্গলবার সকালে নগরীর ট্রাক টার্মিনাল এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে, তাদের দাবিরসমর্থনে মিছিল করেছেন শ্রমিকরা। তারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হলে, পুরো বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।
এদিকে, ভোলাগঞ্জ, জাফলং, লোভাছড়া ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি এলাকার কোয়ারি মালিক ও শ্রমিকরা পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
ধর্মঘট চলাকালে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট ও সড়কে মিছিল-সমাবেশ করেছেন মালিক-শ্রমিক নেতারা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, “পাথর কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় সবকিছু হারিয়ে আজ সিলেটের অসংখ্য মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন।”পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের কারণে, সিলেটের পাইকারি ও খুচরা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পাইকারি বাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজিসহ নিত্যপন্য নিয়ে আসতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, “পন্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।”
জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, “পাথর তোলার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর কমিটির সদস্যরা সিলেটের কোয়ারিগুলো পরিদর্শনে আসবেন। তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখবেন, পাথর তোলার যৌক্তিকতা আছে কি-না। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।”