দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ প্রধান গত সপ্তাহের হ্যালোইনের মারাত্মক ভিড়ের ঢেউ সামলাতে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন। কর্মকর্তারা দেশের শান্তিকালীন সবচেয়ে মারাত্মক বিপর্যয়গুলোর মধ্যে একটি সংঘটিত হওয়ার পরে জনরোষ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন।
কোরিয়ান ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির কমিশনার জেনারেল ইউন হি-কেউনের মতে, একটি প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে শনিবার শেষের দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটার আগে পুলিশ আতংকিত পার্টিগামীদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি জরুরি কল পেয়েছিল।
এর আগে মঙ্গলবার ২০ বছর বয়সী এক কোরীয় নারীকে মৃত ঘোষণা করার পর মৃতের সংখ্যা ১৫৬ জনে পৌঁছেছে বলে সিউলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ২৯ জনের অবস্থা গুরুতর।
হ্যালোইন উদযাপনের জন্য ইটাওয়ানের আশেপাশে আনুমানিক ১ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল। কেন ওই এলাকায়র ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আরও কিছু করেনি সে সম্পর্কে উত্তরের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার জনসাধারণ আরও চাপ দেয়া শুরু করেছে।
রক্ষণশীল ইউনের জন্য এটি একটি নাজুক পরিস্থিতি। মে মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর তার রেটিং প্রায় ৩০ শতাংশে নেমে গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার শেষ রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট গিউন-হাইকে দেশের শেষ বৃহৎ বিপর্যয়- ২০১৪ সালে সিউলে ফেরিডুবির ঘটনায় তার প্রতিক্রিয়া অপর্যাপ্ত হওয়ায় অংশত সে কারণে তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় প্রায় ৩শ জন নিহত হয়েছিল যার বেশিরভাগই উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ ও নিরাপত্তা মন্ত্রী লি সাং-মিন পুলিশ এই বিপর্যয় রোধ করতে পারতো না বলার পরে জনসাধারণের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। মঙ্গলবার তার মন্ত্রণালয় এ বিবৃতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার তদন্তে আমরা আরও মনোনিবেশ করবো।”