রাশিয়ার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা দক্ষিণ ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউক্রেনের হামলা প্রতিহত করেছে।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গোলাবর্ষণের জন্য ইউক্রেনীয় বাহিনীকে দায়ী করে বলেছেন, তারা পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করছে, যা বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
এর আগে ইউক্রেনের সাধারণ কর্মীরা বলেন, রাশিয়ার হামলাগুলো দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল ফলে ইউরোপের বৃহত্তম জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অবকাঠামো ও জ্বালানি সরবরাহের ক্ষতি হয়।
"শত্রুরা অস্থায়ীভাবে দখলকৃত অঞ্চলগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে," ইউক্রেনের সাধারণ কর্মীরা বৃহস্পতিবার বলেন।
উভয় পক্ষই এসব দাবি অস্বীকার করেছে। যদিও লুহানস্ক এবং ডনেৎস্কের পূর্ব অঞ্চলে প্রবল লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার, পশ্চিম জার্মানির মুয়েনস্টার শহরে ইউক্রেনের জন্য সর্বোত্তম সমন্বয় এবং সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়ে দুই দিনব্যাপি আলোচনার জন্য জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর মিলিত হবার কথা। জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর রাশিয়ার নতুন হামলার কারণে ব্যাপক হারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ইউক্রেন রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরের নৌবহরে হামলা চালানোর জন্য ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করার পর রাশিয়া শস্য চুক্তিতে শনিবার তাদের অংশগ্রহণ স্থগিত করে।
জাতিসংঘ ও তুরস্ক জুলাই মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাথে ইউক্রেনীয় শস্যের চালান পুনরায় শুরু করার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের মধ্যে সারের রাশিয়ান চালানের অনুমতি দেওয়ার জন্য চুক্তিটি করেছিল।
জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন যে তারা ইউক্রেনে কোনও জৈবিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে অবগত নন।
(ভিওএ-র পেন্টাগন সংবাদদাতা কার্লা বাব এবং জাতিসংঘ সংবাদদাতা মার্গারেট বেশির এই প্রতিবেদনটিতে কাজ করেছেন। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, এজেন্স ফ্রান্স-প্রেস এবং রয়টার্স থেকে কিছু তথ্য নেয়া হয়েছে)