চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ২২ দফা দাবি আদায়ের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন শুরু করেছেন। চবির আবাসিক হল ও পাঠাগার সংস্কারসহ ২২ দফা দাবিগুলো পূরণের দাবিতে ক্লাস বর্জনের ডাক দেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চারুকলা অনুষদের সামনে গ্যালারিতে অবস্থান নেন ১৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব বাস চালু, ডাইনিং ও ক্যান্টিন তৈরি, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, বেসিনের সুব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নির্মাণ, আর্ট ম্যাটেরিয়ালসের ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পাঠাগার সংস্কার, জেনারেটরের ব্যবস্থা, মেডিকেল ব্যাকআপ, খেলাধুলার পর্যাপ্ত ইন্সট্রুমেন্টের ব্যবস্থা, মেয়েদের থাকার হলের ব্যবস্থা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নির্মূল, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক সংকট নিরসন, ছাত্র ও ছাত্রী মিলনায়তনের ব্যবস্থা, সেমিনারের পরিধি বাড়ানো, ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরণ, ওজুখানা ও নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা, সন্ধ্যার পর পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য লকারের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরন এবং ছাত্রদের হলের ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম বলেন, ‘এর আগেও অনেকবার এ অভিযোগগুলো আমরা জানিয়েছি। কিন্তু কোনো সমাধান আসেনি। তাই ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছি’।
সায়েদ কবির নামে মাস্টার্সের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের চারুকলা ইন্সটিটিউট বছরের পর বছর ধরে নানান সমস্যায় জর্জরিত। আমরা বিভিন্ন সময় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও, তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আমাদের চারুকলা ইন্সটিটিউটটি শহরে অবস্থিত হওয়ায় তেমন কারও নজরেও পড়ছে না। তাই, আমরা ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছিল বিভিন্ন বিষয়ে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাল ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলব। আশা করি সুন্দর সমাধান বেরিয়ে আসবে’।