অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

এসএওসিএল-এ ৪৭২ কোটি টাকা অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট


বাংলাদেশের হাইকোর্ট। (ফাইল ছবি)
বাংলাদেশের হাইকোর্ট। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল ) ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

রবিবার (৬ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বত:প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদেন আমলে নিয়ে, বরিবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), অডিটর জেনারেল ও বিপিসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত। আগামী ২০ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

ঢাকা থেকে প্রকাশিত দ্য ডেইলি স্টারে ৪ নভেম্বর ‘৪৭২.৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বিপিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) ২১ অনিয়মের কারণে, সরকার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ২০১২-১৩ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানতে পেরেছে।”

বিপিসি ও এশিয়াটিক ইন্ডাস্ট্রিজের যৌথ উদ্যোগ এসএওসিএল। প্রতিষ্ঠানটি ইঞ্জিন তেল, যানবাহনের তেল, ডিজেল, বিটুমিন, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস ও ফার্নেস তেল বিপণন ও বিতরণ এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে।

এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনায় যেসব অসঙ্গতি দেখা গেছে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে; শীর্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারা অর্থ আত্মসাৎ, উচ্চ হার, ওভারটাইম, অনুপস্থিত তহবিল, মামলা-মোকদ্দমা ফি প্রদানে অনিয়ম এবং আয়কর অধ্যাদেশ ও ভ্যাট বিধি লঙ্ঘন।

XS
SM
MD
LG