অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তার সম্পর্কিত হাইকোর্টের রায় আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত


সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তার সম্পর্কিত হাইকোর্টের রায় আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত।
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তার সম্পর্কিত হাইকোর্টের রায় আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত।

বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতির আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

রবিবার (৬ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, “হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। এখন আমরা আপিল দায়ের করবো। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে।”

গত ২৫ আগস্ট সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে সরকারের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করেন হাইকোর্ট।আদালত বলেন, “সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১ (১) ধারা বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থি ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থি।”

জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ ঐ রায় দিয়েছিলেন।

পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে, গত ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া ঐ রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করলে, রবিবার তা মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।

২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়, “কোনও সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায়, আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হবার আগে, তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।”

আইনের এই ধারা চ্যালেঞ্জ করে, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম রিট দায়ের করেন।

XS
SM
MD
LG