ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রবিবার ইউক্রেন সম্পর্কে তাদের দৈনিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, “২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার সিনিয়র সামরিক কমান্ডারদের বরখাস্তের ঘটনা ঘটেছে।"
প্রতিবেদনে বলা হয়, “যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতার জন্য রাশিয়ার সিনিয়র সামরিক কমান্ডারদের বিরুদ্ধে দোষারোপের একটি নমুনার প্রতিনিধিত্ব করে এই বরখাস্তের ঘটনা।"
শনিবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন অঞ্চলে কর্তৃপক্ষ ব্যাপক যুদ্ধ ও বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনীয় বাহিনী, জব্দ করা রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে খেরসন অঞ্চলের একটি গোলাবারুদের ডিপোসহ নয়টি স্থানে হামলা চালায়।
রাশিয়া দেশটির শক্তি এবং জল অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা কিনা শক্তি ব্যবস্থার মোট ৩০% থেকে ৪০% ধ্বংস করে দিয়েছে।ফলে দেশটির পাওয়ার গ্রিডগুলো অকার্যকর হয়ে ব্ল্যাক আউটের মুখোমুখি হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা শনিবার বলেছে, এর মধ্যেই বাহ্যিক বিদ্যুৎ লাইনগুলি মেরামত করা হয়েছে এবং ইউক্রেনের জাপোরিজিয়ায় পারমাণবিক
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে পুনরায় সংযুক্ত করা হয়েছে । রাশিয়ার গোলাবর্ষণের ফলে উচ্চ ভোল্টেজ লাইনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
আইএইএ'র মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি আবারও পারমাণবিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এই প্ল্যান্টের চারপাশে একটি পারমাণবিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অঞ্চল স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাশিয়া সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে এবং খেরসন অঞ্চলের অবনতিশীল পরিস্থিতির কথা স্বীকার করছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে মস্কোর দখলে থাকা একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী খেরসন থেকে কমপক্ষে ৭০ হাজার বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ক্রেমলিন-পন্থী মিডিয়া সদস্যরা জানিয়েছে, রাশিয়ান সৈন্যরা তাদের সদর দপ্তর ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সরিয়ে নিয়েছে, অবকাঠামো ধ্বংস করে যাচ্ছে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় বাসিন্দা এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, শহর ছেড়ে যাওয়ার সময় রাশিয়ান সৈন্যরা লুটপাট করছে।
(অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এবং রয়টার্স থেকে এই প্রতিবেদনের জন্য তথ্য নেয়া হয়েছে)