বুধবার উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। পিয়ংইয়ং-এর নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কারণে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া ৩৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে কয়েকটির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে বিমান হামলার সতর্কতা এবং আশ্রয়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
গত এক বছরে উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের প্রতি আরও বৈরি পদক্ষেপ নিয়েছে। উত্তর কোরিয়া ৭০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
উত্তর কোরিয়া বলেছে, গত সপ্তাহে তারা যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় এ বছর মহড়া আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অনেক বিশ্লেষক বলেছেন, উত্তর কোরিয়া একটি বহুল ব্যবহৃত কৌশলে ফিরে যাচ্ছে- সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় বসার আগে দেশটির দর কষাকষির অবস্থান উন্নত করার জন্য সংকটাবস্থা তৈরি করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অধীনে তারা কোনোপ্রকার পূর্বশর্ত ছাড়াই আলোচনায় যেতে প্রস্তুত; তবে আলোচনার লক্ষ্য অবশ্যই হতে হবে কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ।
তবে উত্তর কোরিয়া এ ধরনের সকল আহ্বান অগ্রাহ্য করেছে। বরং তারা সেপ্টেম্বরে নতুন একটি আইন পাস করেছে যাতে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মর্যাদা আরও সংরক্ষিত হয়। দেশটির নেতা কিম জং উন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি পরমাণু অস্ত্র পরিত্যাগ করবেন না বা আলচনায় দর কষাকষির উপায় হিসেবে ব্যবহার করবেন না।
যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা কয়েক মাস ধরে সতর্ক করছেন যে, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে মনে হচ্ছে। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা আঞ্চলিক সামরিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।