অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সিলেটে বিএনপি নেতা কামাল হত্যা মামলায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিলেট জেলা শাখার সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিলেট জেলা শাখার সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিলেট জেলা শাখার সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার (৯ নভেম্বর) সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নোয়াখালি বাজারের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নগরের বাদামবাগিচা এলাকার বাসিন্দা মিশু ও গোয়াইপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনা।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি আফসান আল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, আটক দুজন কামাল হত্যা মামলার যথাক্রমে ৪ ও ৬ নম্বর অভিযুক্ত।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই হত্যা মামলার আরেক অভিযুক্ত কুটি মিয়াকে গ্রেপ্তার করে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।

গত রবিবার রাতে নগরের বড়বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন কামাল।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যবসাসংক্রান্ত বিরোধে কামাল খুন হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত কামালের বড় ভাই ময়নুল হক হত্যা মামলা করেন। মামলায় আজিজুর রহমান ওরফে সম্রাটকে (৩৫) প্রধান করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

মামলার এজাহারে মইনুল হক অভিযোগ করেন, আম্বরখানার মান্নান সুপার মার্কেটে তাদের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে লাহিন আহমদের 'লাহিন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস' নামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর অভিযুক্তরা এসে এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়। এ খবর পেয়ে কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের ভাংচুর চালাতে নিষেধ করেন।

মইনুল হক এজাহারে লেখেন-‘এসময় দুই পক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। অভিযুক্তরা সেদিন প্রকাশ্যে আমার ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এর জের ধরে ৬ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে আমার ভাই প্রাইভেটকারে বালুচরে নিজ বাসায় যাওয়ার সময় বড়বাজার এলাকায় ৪/৫টি মোটরসাইকেল যোগে অভিযুক্তরা পিছু নেয়। এ সময় তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে’।

XS
SM
MD
LG