দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর প্রধান ভিন্নমতাবলম্বী এবং বৃহত্তর বিশ্বের বিরুদ্ধে নতুন করে হুমকি দেওয়ার পরেও , বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইরানের রাস্তায় বিক্ষোভ চলেছে। বিক্ষোভকারীরা দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সহিংস দমন অভিযানের প্রতিবাদ করে।
এদিকে, কোনও প্রমাণ ছাড়াই ইরানের প্যারামিলিটারি রেভোলিউশনারি গার্ডের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করেছেন, তারা তথাকথিত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র “অর্জন করতে সক্ষম” হয়েছেন।
ইরানে ১৬ সেপ্টেম্বর দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হাতে আটককৃত, ২২ বছর বয়সী এক তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর শুরু হওয়া এই বিক্ষোভগুলি দেশটির ধর্মতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের বিশৃঙ্খল মাসগুলির পর এটিই এখন অন্যতম বড় সমস্যা।
ইরানের মানবাধিকার কর্মীদের মতে, ৫৪ দিন ধরে চলা এই বিক্ষোভে কমপক্ষে ৩২৮ জন নিহত এবং ১৪,৮২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইরান সরকার কয়েক সপ্তাহ ধরে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে নীরব রয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম পাল্টা দাবি করছে যে, নিরাপত্তা বাহিনী কাউকে হত্যা করেনি।
বিক্ষোভকারীরা নিহতদের ৪০তম দিনের স্মরণে রাস্তায় ফিরে আসছে। অনুমান করা হচ্ছে, বিক্ষোভগুলি ক্রমবর্ধমান হতাশ জনসাধারণ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে চক্রাকার সংঘাতে পরিণত হতে পারে। তাদের দমন করার জন্য ক্ষমতাসীনদের এটি বৃহত্তর সহিংসতাও চালানোর সুযোগ দিতে পারে।
ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারী প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অনলাইন ভিডিওগুলিতে রাজধানী তেহরান এবং দেশের অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ চলতে দেখা গেছে। ভিডিওগুলোতে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লক্ষ্য করে "স্বৈরশাসকের মৃত্যু" স্লোগান দেয়া হয়েছে।
ইরানি কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারী এবং বৃহত্তর বিশ্বের বিরুদ্ধে তাদের হুমকি অব্যাহত রেখেছে।