অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনে নতুন ১০ হাজার কোভিড সংক্রমণ চিহ্নিত; রাজধানীতে বন্ধ হলো পার্ক


সুরক্ষামূলক পোশাক পরা একজন কর্মী বেইজিং-এ একটি এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ সনাক্ত হওয়ার পর, স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য লকডাউন আরোপ করে ব্যারিকেড দেওয়া একটি পাড়ায় খাবার সরবরাহ করছেন। ৯ নভেম্বর, ২০২২।
সুরক্ষামূলক পোশাক পরা একজন কর্মী বেইজিং-এ একটি এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ সনাক্ত হওয়ার পর, স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য লকডাউন আরোপ করে ব্যারিকেড দেওয়া একটি পাড়ায় খাবার সরবরাহ করছেন। ৯ নভেম্বর, ২০২২।

নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায়,চীনের বেইজিং-এ পার্কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং অন্য আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এমনকি শুক্রবার চীনের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ এখন লকডাউনের আওতায় রয়েছেন।

দেশটিতে শুক্রবার ১০ হাজার ৭শ ২৯ জন নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এরা সকলেই কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে; কিন্তু সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ছিল না তাদের মধ্যে।

শুক্রবার চীনের সরকার বলেছে, তারা বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজনীয় সময় কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছিল।

শিথিল এ মানদণ্ড বিদেশী ব্যবসায়ী এবং ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য থাকতো যার মাধ্যমে মনে হচ্ছিল দেশটি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

“জিরো কোভিড” নীতির কারণে চীনে সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। কিন্তু এটি দেশটির অর্থনীতির ওপর এর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। আর, কোন পূর্ব সতর্কতার ঘোষণা ছাড়াই স্কুল, কারখানা এবং দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আশেপাশের এলাকাগুলোর জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করেছে।

ব্যবসায়ী গ্রুপগুলো বলছে, এ নীতি বিদেশী নির্বাহীদেরকে চীন ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে। এর ফলে কোম্পানিগুলো তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা অন্য দেশে স্থানান্তর করতে চাচ্ছে।

এই নীতি কখন শিথিল হতে পারে এ বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। আর এমনটা চলছে, সরকার আরও কার্যকর ভ্যাকসিন আমদানি করবে না-কি অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি করতে ইচ্ছুক, তাকে কেন্দ্র করে। এমন পরিস্থিতিতে বয়স্ক ব্যক্তিদের বিশেষ ভাবে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে

এই পরিবর্তন আগামি বসন্তেই আসতে পারে। তখন শি’র অব্যাহত নেতৃত্বে নতুন এক দল কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে। অথবা সরকার যদি আক্রান্তের হার তুলনামূলক ভাবে কম থাকা-এই জীবনযাপনের ধারণাটিকে প্রত্যাখ্যান করে, তবে বিধিনিষেধগুলো আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। যদিও, মহামারীতে আক্রান্তের হার যে সময় অনেক বেশি ছিল, সে সময়ের চেয়ে বর্তমান জীবন যাপনের ধারায় হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর হার অনেক কম।



XS
SM
MD
LG