অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বকেয়া চারশ’ কোটি টাকা: ঢাকা উত্তর সিটিতে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে তিতাস


বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকের কাছে তিতাস গ্যাস কোম্পানির বকেয়া বিল রয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। সেই বিল আদায়ের লক্ষ্যে, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণ অভিযান শুরু করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (রাজস্ব) মো. রশিদুল আলম জানান, “চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আমরা অভিযান শুরু করেছি। সোমবার (১৪ নভেম্বর) থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন গুলশান, বনানী, তেজগাঁও, নাখালপাড়া, তেজকুনিপাড়া ও বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালানো হবে।”

তিনি আরও বলেন, “তিতাস গ্যাসের ৩০টি দল এখন বিল-খেলাপি গ্রাহকদের বিরুদ্ধে অভিযানে নিয়োজিত রয়েছে। ঢাকা মহানগরের ছয়টি জোনের অধীনে, তিতাসের মোট ছয় লাখ গ্রাহক আছে। জোনগুলো হচ্ছে; কুড়িল, মতিঝিল-১, মতিঝিল-২, টিকাটুলি, সোবহানবাগ ও মিরপুর।

“প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক সময়মতো বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং প্রতিটি জোনে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার বিল-খেলাপি গ্রাহক রয়েছে; জানান রশিদুল আলম। তিনি বলেন, “এর মধ্যে বেশিরভাগই বাসা-বাড়ির গ্যাস সংযোগ। খেলাপি গ্রাহকরা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে তাদের বকেয়া বিল পরিশোধ করলে, তিতাস তাদের সংযোগ আবার স্থাপন করে দেবে।”

তিতাসের কর্মকর্তারা জানান যে তারা দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি গ্রাহকদের বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য নোটিশ দিয়ে আসছেন। কিন্তু অনেক ভোক্তা এখনও নোটিশে কর্ণপাত করছে না। কর্মকর্তাদের মতে, তিতাস গ্যাসের মোট ২৮ লাখ গ্রাহক রয়েছে। যার অধিকাংশই বৃহত্তর ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, শেরপুর ও জামালপুর তিতাস-এর আওতাভুক্ত এলাকা। তিতাসের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জ এলাকায় বিপুল সংখ্যক অবৈধ গ্যাস সংযোগ আছে।

রশিদুল আলম বলেন, “তিতাস এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের সংখ্যা তিন লাখের বেশি হতে পারে, যদিও সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত জানা যায়নি।”

XS
SM
MD
LG