ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যাবি আহমেদ সংসদে আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, তিনি উত্তর টিগ্রায় অঞ্চলে দুই বছরব্যাপী চলা মারাত্মক সংঘাতের অবসান ঘটাতে এই মাসের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকায় টিগ্রায়ের নেতৃত্বের সাথে একটি শান্তি চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদ বলেছেন, যুদ্ধরত দলগুলোকে এখন নিশ্চিত করতে হবে যে তারা চুক্তিটি মেনে চলবে।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র এর বাস্তবায়নই “শান্তিকে টেকসই করতে পারে।”
২ নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলীর অধীনে ইথিওপিয়ার ফেডারেল সরকার টিগ্রায় অঞ্চলের সীমানা, রাস্তা এবং বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেবে। সে সময় টিগ্রায়ের যোদ্ধাদের নিরস্ত্রীকরণ হবে।
১২ নভেম্বর ইথিওপিয়ার ফেডারেল সরকার এবং টিগ্রায় অঞ্চলের প্রতিনিধিত্বকারী সামরিক কমান্ডাররা একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন যার মধ্যে ভারী অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ এবং টিগ্রায় অঞ্চল থেকে “বিদেশী এবং নন-ইএনডিএফ (ফেডারেল সামরিক) বাহিনী” প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভয়েস অফ আমেরিকার দেখা একটি অনুলিপি অনুসারে, ১৫ নভেম্বর থেকে নিরস্ত্রীকরণ শুরু হতে চলেছে।
প্রিটোরিয়ায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি ফেডারেল সরকারকে টিগ্রায়তে নিরবচ্ছিন্ন সাহায্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করে। ওই অঞ্চলের ৬০ লাখ মানুষের জরুরি খাদ্য এবং ঔষধের প্রয়োজন।
ইথিওপিয়ার ফেডারেল সরকার বলেছে, সপ্তাহান্তে মৌলিক পরিষেবাগুলো “ধীরে ধীরে টিগ্রায়তে পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে।”
তবে ত্রাণ কর্মকর্তারা বলেছেন, এখনো এই অঞ্চলে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।