শেষ মুহূর্তের বিতর্কিত পদক্ষেপে, পাকিস্তান তার আন্তর্জাতিক পুরষ্কার-বিজয়ী চলচ্ছিত্র, "জয়ল্যান্ড" কে "অত্যন্ত আপত্তিকর" বিষয়বস্তু ধারণের জন্য, সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে।
চলচ্চিত্রটিতে, একজন বিবাহিত পুরুষকে একজন রূপান্তরকামী নারীর প্রেমে পড়তে দেখা যায়। শুক্রবার পাকিস্তানের হলে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
গত মে মাসে ‘’জয়ল্যান্ড’’ প্রথম পাকিস্তানি ফিচার ফিল্ম হিসেবে কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার লাভ করে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালের একাডেমি পুরষ্কারের জন্য পাকিস্তানের অংশগ্রহণের কথা ছিল এই ছবির মাধ্যমে।
সরকার নেতৃত্বাধীন সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সেন্সরস (সিবিএফসি) গত আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে চলচ্চিত্র নির্মাতাকে সিনেমা হলে সিনেমাটি প্রদর্শনের লাইসেন্স প্রদান করে।
তবে ফেডারেল তথ্য মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা সিনেমাটির প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছে, কারণ বিষয়বস্তু প্রশ্নবিদ্ধ ,তা ‘’আমাদের সমাজের সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।‘’
"জয়ল্যান্ড"-এর পরিচালক সায়েম সাদিক এই সিদ্ধান্তকে ‘’সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও অবৈধ’’ বলে ’এর নিন্দে করেছেন।
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ডানপন্থী জামায়াতে ইসলামী দলের প্রতিনিধিত্বকারী সিনেটর মুশতাক আহমেদ খান পাকিস্তানে ‘’জয়ল্যান্ড’’প্রদর্শনের বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি লাইসেন্স বাতিলের, সরকারি সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।
সাদিক সরকারের সমালোচনা করে বলেন, "কয়েকটি উগ্রবাদী দলের চাপের মুখে এই অর্জনটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের ফেডারেল সেন্সর বোর্ডকে উপহাস করা হয়েছে। তিনি তথ্য মন্ত্রককে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সালমান সুফি সোমবার টুইটারে ঘোষণা করেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন যা "অভিযোগগুলি মূল্যায়ন করার পাশাপাশি পাকিস্তানে এর মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যোগ্যতা মূল্যায়ন করবে।”
নিষেধাজ্ঞার ফলে ব্যাপক ক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় তিনি রবিবার টুইটে লিখেন, ‘’আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ করায় বিশ্বাসী না, বিশেষ করে যা আমাদের সমাজের প্রান্তিক অংশের সমস্যার কথা তুলে ধরে। মানুষকে দেখতে দেয়া এবং তাদের নিজস্বতায় বিশ্বাস করা উচিত।"