কিয়েভের রাজধানী সহ ১০টি অঞ্চলকে লক্ষ্য করে রাশিয়া মঙ্গলবার ইউক্রেনের উপর বিমান হামলা শুরু করেছে। এদিকে ইউক্রেনীয়দের তাদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধকালীন সাফল্যের মধ্যে একটি ছিল গত সপ্তাহে দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন দখল করা, যা কিনা রাশিয়ার জন্য ছিল সামরিক অপমান।
বিমান হামলায় ইউক্রেনের পূর্ব থেকে পশ্চিম কেঁপে ওঠে। জ্বালানি শক্তির স্থাপনা এবং অন্যান্য অবকাঠামো, সেইসাথে কিয়েভের আবাসিক ভবনগুলিতে হামলা হয়, যেখানে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
একটি ভিডিওতে, যা প্রেসিডেন্টের একজন সহকারী দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে কিয়েভের একটি পাঁচতলা বিল্ডিং, দৃশ্যত একটি আবাসিক কাঠামো, আগুনে জ্বলতে দেখা গেছে। মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, তিনটি আবাসিক ভবনে আঘাত হেনেছে কিন্তু বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপতিত করেছে।
একজন ঊর্ধ্বতন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা কিরিলো টাইমোশেঙ্কো পরিস্থিতিটিকে "সঙ্কটজনক" হিসাবে চিহ্নিত করেছেন এবং জনগণকে তাদের বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে এবং "সেখানে নিজেদের অবরুদ্ধ রাখার " আহ্বান জানিয়েছেন। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ডিটেক কিয়েভে জরুরী ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করেছে এবং কর্তৃপক্ষ অন্যত্রও অনুরূপ পদক্ষেপ নিয়েছে।
সারাদেশে বিমান হামলার সতর্কবার্তা বেজে ওঠে। ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণসহ প্রায় ১০০টি হামলা সংগঠিত হয়। খেরসন থেকে রাশিয়ার পশ্চাদপসরণের পর ইউক্রেনে কয়েক দিনের উচ্ছ্বাস এবং যুদ্ধের শুরুতে মস্কো বাহিনীর প্রায় নয় মাসের দখল করা আঞ্চলিক রাজধানী ইউক্রেন দখল নেওয়ার পর এই হামলা শুরু হয়েছে।