নেটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বুধবার বলেছেন, ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে পূর্ব পোল্যান্ডে বিস্ফোরণটি , "সম্ভবত রাশিয়ার নৌ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা করার জন্য,একটি ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে ঘটেছে।”
উত্তর আটলান্টিক কাউন্সিলের বৈঠকের পর, ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় স্টলটেনবার্গ বলেন, নেটোর সব মিত্র প্রাথমিক বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে করা এই তথ্যের সাথে একমত হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন,"কিন্তু আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই: এটি ইউক্রেনের দোষ নয়।ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবৈধ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া রাশিয়ার এতে চূড়ান্ত দায় রয়ে গেছে।‘’
নেটো প্রধান বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, ইউক্রেনে রাশিয়ার লড়াই বন্ধ করা।
ইউক্রেনের কোনো ক্ষেপণাস্ত্র আসলেই ওই এলাকায় কোনো রুশ ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধা দিয়েছে কি না বা মাটিতে কোনো রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো পাওয়া গেছে কি না তা জানতে চাইলে, তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান। স্টোলটেনবার্গ সংবাদদাতাদের বলেন, নেটো পরে সিদ্ধান্ত নেবে , তাদের তদন্ত থেকে ঠিক কতটা প্রকাশ করা হবে।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদাও বুধবার বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রুশ হামলার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন,"ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছিল এবং এটি অত্যন্ত সম্ভব যে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি দুর্ভাগ্যবশত পোলিশ অঞ্চলে পড়েছে।"
বুধবার দিনে আরও আগের দিকে , নেটো ও গ্রুপ অব সেভেনের নেতারা বালিতে গ্রুপ অব টুয়েন্টি এর শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ইউক্রেনীয় সীমান্তের কাছে পোল্যান্ডে, এই বিস্ফোরনের কারণ তদন্ত করব।
জাতিসংঘে মস্কোর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, রাশিয়া ও নেটোর মধ্যে যুদ্ধ শুরু করার জন্যই এই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাইডেন ডুডাকে ‘’পোল্যান্ডের তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন ও সহায়তার’’ প্রতিশ্রুতি দেন এবং ‘’নেটোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের‘’ লৌহকঠিন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। পোল্যান্ড জানিয়েছে, বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হয়েছেন।
ভিওএ-র হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা আনিতা পাওয়েল এবং ভিওএ-র পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যুরোর প্রধান নাইকি চিং এই প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন। রয়টার্স ও থেকে কিছু তথ্য নেয়া হয়েছে।