এই সপ্তাহে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানকারী দেশগুলোর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে প্রায় অর্ধেক বিশ্ব বাণিজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী ২১টি অর্থনীতি বাণিজ্যকে উন্নীত করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবে এবং বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করবে।
করোনা ভাইরাস মহামারির পরে এবং কয়েক বছর ধরে মহামারীতে ক্ষয়িষ্ণু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি ব্লকের দুটি বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার পরে এই প্রথমবারের মতো কর্মকর্তারা সশরীরে সম্মেলনে উপস্থিত হচ্ছেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস এই সপ্তাহে এপেক নেতাদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
অন্যান্য বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেনের অনুপস্থিতি এপেক-এর প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করে এবং কেউ কেউ আঞ্চলিক বাণিজ্যের উদারীকরণে এর সামান্য ভূমিকা দেখেন।
কনেলি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, আরেকটি কারণ হলো, অনেক বিষয়ে বর্তমান থাই সরকারের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এপেক-এর যে তিনটি সদস্য রাষ্ট্র (চীন,থাইল্যান্ড,ভিয়েতনাম) ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করার রাশিয়ার প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়ে অক্টোবরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে ভোট প্রদান থেকে বিরত ছিল, তাদের মধ্যে থাইল্যান্ড একটি।
সদস্য রাষ্ট্রগুলো যখন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন যে এবারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, কারণ এই বছরের এপেক সভাগুলো ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং এর ফলে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ছে। রাশিয়াও এপেকের সদস্য।