বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলাম ধর্মের মূল্যবোধ ধারণ করে সমাজ থেকে এর অপব্যাখ্যা প্রতিহত ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের মর্মবাণীকে অন্তরে ধারণ করার মাধ্যমে আসুন আমরা সবাই সমাজ থেকে অন্ধকার, সংঘাত, নিরক্ষরতা, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে নির্মূল করি এবং সেই সঙ্গে ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী শক্তিকে প্রতিহত করি’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলাম বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ধর্ম। ইসলামের শান্তিপূর্ণ গৌরব সমুন্নত রাখতে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকায় হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় পর্যায়ের সম্মেলন ও মেলার উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা সম্মেলন-২০২২ এবং হজ ও ওমরাহ মেলার আয়োজন করে।
এই আয়োজনের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হজযাত্রীদের যথাযথ হজ সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করা, তাদের বর্তমান প্রযুক্তিভিত্তিক হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করা, হজ এজেন্সির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে সক্ষম করা এবং মধ্যস্বত্বভোগী ও প্রতারকদের প্রভাব হ্রাস করা।
তিন দিনব্যাপী মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আগ্রহীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের ওপর জোর দেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সিঙ্গাপুরের পরিবহনমন্ত্রী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণিজ্য সম্পর্কমন্ত্রী এস ইশ্বরান প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণের পাশাপাশি টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
এস ইশ্বরান বলেন, ‘দুই দেশকে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধান এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণের জন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করতে হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘দুই দেশেরই পর্যটন খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে’।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে কুয়েতের প্রস্তাবিত পেট্রোলিয়াম শোধনাগার দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম শোধনাগার স্থাপনে কুয়েতের প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আলাদওয়ানি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গত বছর এক সফরে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ বাংলাদেশে একটি জ্বালানি তেল শোধনাগার নির্মাণে তাঁর দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের শোধনাগারের জন্য জমি প্রদান করতে সম্মত হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট যৌথ কমিশনের সভা করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও কুয়েতের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন’।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে কুয়েতের সহায়তার প্রশংসা করেন। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যখন আসে সেসময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে কুয়েতের অবদানের কথা তিনি বিশেষ করে স্মরণ করেন এবং ওই সহায়তা পরবর্তীতে পরিশোধ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশিরা দুই দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে’।
তিনি কুয়েতের আমিরকে শুভেচ্ছা জানান।
পেট্রোলিয়াম শোধনাগার নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কুয়েতের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা করবে।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।