যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ সৈন্য প্রত্যাহারের ফলে আফগানিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর শক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে যে শোচনীয় ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। সাম্প্রতিক মূল্যায়নগুলো বলছে যে, আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর মত সংগঠনগুলো এখনও বাইরে আক্রমণ চালানোর মত যথেষ্ট সক্ষমতা নতুন করে অর্জন করতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দেওয়া ও সবেমাত্র প্রকাশিত সরকারি প্রতিবেদনের এই মূল্যায়নগুলোতে বলা হয় যে, এই দুইটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীই যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর, তবে আপাতত তাদের সেই সক্ষমতা নেই।
ন্যাশনাল কাউন্টারটেররিজম সেন্টারের পরিচালক ক্রিস্টিন আবিজাইদ যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের বৃহস্পতিবার বলেন, “আল-কায়েদার আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডকে হুমকিতে ফেলার সক্ষমতা খুবই সীমিত, যার একটি কারণ হল কাবুলে আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে হত্যা-অভিযানটি। তবে আরও একটি কারণ হল, আমাদের জানামতে আফগানিস্তানে এখনও উপস্থিত আল-কায়েদার অংশগুলো সত্যিকার অর্থে বাইরে অভিযান চালাতে ইচ্ছুক নয়।”
আইএস-খোরাসান এর বিষয়ে আবিজাইদ বলেন, আইএস এর আফগান শাখাটি ইসলামিক স্টেটের সবচেয়ে কার্যকর শাখাগুলোর একটি, যদিও তারা এখন পর্যন্ত ঐ অঞ্চলের বাইরে হামলা চালানোর সক্ষমতা প্রদর্শন করেনি।
তিনি বলেন, “সংঘবদ্ধ ও শ্রেণীবদ্ধভাবে পরিচালিত কোন পরিকল্পনার পরিবর্তে সম্ভবত বর্তমানের হুমকিটি হল এমন যে, কোন স্বতন্ত্র হামলাকারী এই গোষ্ঠীগুলো দ্বারা উদ্বুদ্ধ হবে।”
২০২১ এর আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে আসার পরের মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার দেওয়া সতর্কবার্তাগুলো থেকে, আবিজাইদ ও অন্যান্যদের অনুমানগুলো অনেকটাই ভিন্ন। ঐ কর্মকর্তারা সেসময়ে আভাস দিয়েছিলেন যে, আল-কায়েদা ও আইএস-খোরাসান, উভয়ই পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলা চালানোর সক্ষমতা এক বছর বা আরও কম সময়ের মধ্যে আবার অর্জন করে ফেলবে।
তবে, নতুন এই মূল্যায়নগুলোকে সাম্প্রতিক গোয়েন্দা তথ্যগুলো সমর্থন করছে, যাতে দেখা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের অনুপস্থিতিতে আল-কায়েদা বা আইএস-খোরাসান, কেউই সমৃদ্ধিলাভের কোন পথ খুঁজে পায়নি।