উত্তর ইরাকে একটি জ্বালানি ট্যাঙ্ক বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে একটি ভবন ধসে ১৫ জন মারা গেছে এবং প্রায় ১২ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার অনুসন্ধান শেষ হওয়ার পরে কর্তৃপক্ষ এ সংবাদ জানায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রাদেশিক গভর্নর হাভাল আবু বকর ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুলাইমানিয়াহতে বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব প্রদান করেন। তিনি প্রদেশটিতে এক দিনের শোক দিবস ঘোষণা করেন।
আবু বকর বলেন, “নিহতদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু।”
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘর উষ্ণায়নের জন্য ব্যবহৃত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস ট্যাঙ্ক থেকে লিক হয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় ৩ তলা ভবনটি ধসে পড়ে।
জরুরি উদ্ধারকর্মীরা এখনো জীবিতদের সন্ধান করছে। এর আগে তারা ১১ জনের মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরে শহরের জরুরি প্রতিক্রিয়া বিষয়ক প্রধান সামান নাদের যখন “অপারেশনের সমাপ্তি” ঘোষণা করেন, তখন মোট ১৫টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল।
শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকর্মীদেরকে একটি বুলডোজারের সাহায্যে ধসে পড়া ইট এবং তালগোল পাকিয়ে যাওয়া লোহার মধ্যে অনুসন্ধান করতে দেখেছিল।
বিস্ফোরণে জানালা ভেঙে পড়ে এবং পাশের একটি ভবনের সম্মুখভাগ কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকের বেশিরভাগ অবকাঠামো জরাজীর্ণ এবং এমন দুর্ঘটনা এখানে হরহামেশাই হয়ে থাকে।
বিশেষ করে পরিবহন এবং নির্মাণ খাতে দেশটি তাদের প্রযুক্ত দুর্বল নিরাপত্তা মানদণ্ডের কারণেও ভুগছে।
অক্টোবরের শেষের দিকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে দুর্ঘটনাক্রমে গ্যাস পরিবহনকারী একটি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৯ জন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়।
২০২১ সালে বাগদাদের একটি হাসপাতালে সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।