পাকিস্তান শুক্রবার বলেছে যে তারা আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে বৈশ্বিক ঐকমত্য ছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে না এবং সতর্ক করেছে যে ঐ ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটির প্রতি বিশ্বের ধৈর্য কমে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ইসলামাবাদে সংবাদদাতাদের বলেছেন, তার সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রতিবেশী দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় রোধে সহায়তা করার জন্য তালিবানের সাথে টেকসই আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "যতদূর তাদের সরকারী স্বীকৃতির প্রশ্নটি আসে, পাকিস্তান এর দায়িত্ব একা নিতে চাইবে না বরং আন্তর্জাতিক ঐকমত্যের সাথে এই প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যাবে"।
জারদারি কাবুলের ইসলামপন্থী শাসকদের প্রতি আফগানদের এবং বৃহত্তর বিশ্বের কাছে তাদের অঙ্গীকার পূরণ করার আহ্বান জানান যে তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে এবং নারীদের শিক্ষার সুযোগ প্রদান সহ সমস্ত আফগানের মানবাধিকারকে সম্মান করবে। তিনি আরো বলেছেন, এটি পাকিস্তানকে আফগানিস্তানের জনগণের জন্য সমর্থন ও সাহায্য পেতে একটি "ভালো অবস্থানে" নিয়ে আসবে।
জারদারি সতর্ক করেন যে " তালিবানের সাথে বিশ্বের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে। কিন্তু এই সব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, আমরা আফগানিস্তানের সাথে সম্পৃক্ততা বজায় রাখার জন্য আবেদন ও জোর দিচ্ছি, এবং আমাদের অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয়।”
তালিবান ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে, যখন আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত তৎকালীন সরকারের পতন ঘটে এবং প্রায় দুই দশক ধরে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করার পর যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বিদেশী সৈন্যরা সে দেশ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে।
যদিও পাকিস্তান, চীন এবং রাশিয়া সহ অনেক দেশ কাবুলে তাদের কূটনৈতিক মিশন খোলা রেখেছে, মানবাধিকার এবং সন্ত্রাসবাদের উদ্বেগের কারণে কোনও বিদেশী সরকার এখনও পুরুষতান্ত্রিক তালিবান নেতৃত্বের বৈধতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
ইসলামপন্থী দলটি মূলত নারীদের জনজীবন থেকে বাদ দিয়েছে এবং কিশোরীদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেতে বাধা দিয়েছে। সরকারী সেক্টরের বেশিরভাগ নারী কর্মচারীদের বাড়িতে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।