অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত


বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়, বিএনপির এক নেতার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশের সঙ্গে দলটির সমর্থকদের সংঘর্ষে ছাত্রদলের এক নেতার গুলিবিদ্ধ হয়েনিহত হয়। এই ঘটনায় ছয় পুলিশ ও বিএনপির সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং দুই বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়েছে।
নিহত নয়ন মিয়া (২২) বিএনপির সোনারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ শাখার সহসভাপতি এবং উপজেলার চরশিবপুরের রহমত উল্লাহর ছেলে। আহতরা হলেন; বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম, পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন, বিকিরণ চাকমা, কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম ও বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় কুমিল্লার বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। প্রচারের পর নেতা- সমর্থকরা মোল্লা বাড়ি এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে সমবেত হয়।
এসময় ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঐ বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় এবং সাঈদুজ্জামানকে ঘটনাস্থল থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিএনপির নেতা- সমর্থকরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ও বিএনপি সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং বিকাল ৪টার দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় বলে বিএনপি নেতারা দাবি করেন।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়ন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং আরও কয়েকজন আহত হয় বলে উপজেলার রূপসদী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আহত ছাত্রদল নেতাকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে আসেন।
নয়নকে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
ওসি নূরে আলম জানান, “বিনা উসকানিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপির লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।” ওসি দাবি করেন যে তারা পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং পুলিশকে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে বাধ্য করে।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় এবং আশেপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ

XS
SM
MD
LG