বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, “রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার একটি নিম্ন আদালতের প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ধরতে সরকার দেশের সব প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।”
সচিবালয়ে, তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। বলেন, “পুলিশ সর্বত্র তাদের খুঁজছে। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সীমান্ত এলাকায় তাদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি, যাতে তারা (দণ্ডপ্রাপ্তরা) দেশ ছেড়ে যেতে না পারে।”
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। পুলিশের হাত থেকে জঙ্গিদের পলায়ন একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব, যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।”
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায়, ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
পুলিশের ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক জঙ্গিদের প্রত্যেকের তথ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক জঙ্গিদের প্রত্যেকের তথ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
রবিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া সেলের এআইজি মো. মনজুর রহমান বলেন, “আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে সহায়তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।”
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর-রশিদ জানান, পলাতক ব্যক্তিরা হলেন; আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর-রশিদ জানান, পলাতক ব্যক্তিরা হলেন; আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
হারুন বলেন, “দণ্ডপ্রাপ্তরা দুই পুলিশ সদস্যের চোখে কিছু স্প্রে করে এবং তাদের আদালতে নেওয়ার সময় পালিয়ে যায়। আমরা কাছাকাছি এলাকায় তাদের খোঁজ করছি। দেশে এমন ঘটনা এই প্রথম।”