ফিফার খেলোয়াড়দের জন্য মাঠের শাস্তির হুমকি, সোমবার বিশ্বকাপ দলগুলোকে এবং তাদের অধিনায়কদেরকে আর্মব্যান্ড পরার একটি পরিকল্পনা বাদ দিতে বাধ্য করেছে। আয়োজক দেশ কাতারের মানবাধিকার রেকর্ডের প্রতি বিষয়টি একটি তীব্র সমালোচনা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
কাতারের সরকারের চাপে স্টেডিয়ামগুলোতে বিয়ার বিক্রি হঠাৎ নিষিদ্ধ হওয়ার ৩ দিন পরে এবং ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো স্বাগতিক দেশের মানবাধিকারের পক্ষে একটি অসাধারণ বক্তব্য প্রচার করার ২ দিন পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইউরোপের ৭টি দেশে অধিনায়করা,‘ওয়ান লাভ’ প্রচারণার অংশ হিসেবে হৃদয় আকৃতির বহু-রঙের লোগো বহনকারী আর্মব্যান্ড পরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই প্রচারণা ফুটবল এবং সমাজে, অন্তর্ভুক্তি এবং বৈচিত্র্য সম্প্রসারণের বার্তা তুলে ধরে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলগুলো বলেছে, তারা মাঠের সাফল্য বিসর্জন দিতে পারবে না।
তবে, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি এবং ডেনমার্কের অধিনায়করা সামনের দিনগুলোতে আর্মব্যান্ড পরার অঙ্গীকার করেছেন।
ইংল্যান্ডের ফুটবল সমর্থক সমিতি বলেছে, তারা ফিফার বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছে বলে মনে করছে।
জেনেভা ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্স এবং ইন্টারসেক্স অ্যাসোসিয়েশনের গুরচাটেন সান্ধু বলেছেন যে, ফিফা “খেলোয়াড়দের খুব, খুব বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।
এই সিদ্ধান্তের ওপর কাতারের স্বৈরাচারী সরকারের কোনো প্রভাব আছে কি-না; সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
রবিবার ইউরোপীয় ফুটবল ফেডারেশনগুলোর সাথে একটি পরীক্ষামূলক বৈঠকে, হলুদ কার্ডের সম্ভাবনার কথা উত্থাপন করেছিল ফিফা।
সোমবার ফিফা একটি সমঝোতার প্রস্তাব দিয়ে বলে যে, ৩২টি দলের অধিনায়করা গ্রুপ পর্ব-এর খেলাগুলোতে, নো ডিস্ক্রিমিনেশন ( বৈষম্য নয়), স্লোগান সম্বলিত একটি আর্মব্যান্ড পরার সুযোগ পাবে।