অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পাবনায় বিএনপির ১৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা


ফাইল ছবি-(বিএনপি) স্থানীয় নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ
ফাইল ছবি-(বিএনপি) স্থানীয় নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ

ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পাবনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থানীয় ৭ নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

পাবনা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর (রবিবার) বিকেল ৫টার দিকে ট্রাফিক মোড়ের ঘোড়াস্ট্যান্ডে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে এই মামলা করা হয়।

স্থানীয় বিএনপির নেতারা বলেছেন, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর সমাবেশে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তাদেরকে হয়রানির জন্য গায়েবী মামলা দেওয়া হয়েছে।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন—বিএনপির পাবনা জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, যুবদলের পাবনা জেলার আহ্বায়ক হিমেল রানা, ছাত্রদলের পাবনা জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান সুইট, বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক তরুণ।

তসলিম হাসান খান সুইট বলেন, ‘পাবনা শহরে ককটেল বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা না ঘটলেও নাটক সাজিয়েছে পুলিশ। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মামলা দিয়েছে। চলমান আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেই জন্য পুলিশ রহস্যজনক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে’।

বিএনপির পাবনা জেলা শাখার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর গণসমাবেশে পাবনা থেকে যাতে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করতে না পারেন, এখান থেকে যাতে বিএনপি নেতারা সাধারণ লোকজনকে সমাবেশ নিয়ে যেতে না পারেন, সেই ষড়যন্ত্র হিসেবে মামলা করছে পুলিশ’।

পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার বলেন, ‘বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রবিবার বিকেলে শহরে ককটেল বিস্ফোরণ করে নাশকতার সৃষ্টি করেছে। পরে সেখানে গিয়ে তিনটি ককটেল পাওয়া যায়। পরে অনুসন্ধানে বিএনপি নেতারা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। সেদিন রাতেই ৭ জনের নাম উল্লেখ ও বাকিদের অজ্ঞাত করে মামলা করা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG