দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ জানিয়েছে, বড়দিনের মধ্যে তারা ১০হাজার নতুন কর্মকর্তা রাস্তায় মোতায়েন করবে। সহিংস অপরাধ সেখানে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে হত্যাকাণ্ড ১৪ শতাংশ বেড়েছে, গাড়ি ছিনতাই ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অপহরণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এক হাজার নারীসহ সাত হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং ঐ তিন মাসে ১০ হাজার নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ভয়েংকর এই প্রবণতাটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনব্যাপী সক্রিয় আন্দোলনের ঠিক আগে ।
পুলিশ মন্ত্রী ভেকি সেলে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপরাধের পরিসংখ্যানটি ঘোষণা করেন।
সেলে বলেন, “অপরাধ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে আগ্রাসন এবং সহিংসতা দক্ষিণ আফ্রিকায় উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে।”
সেলে নাগরিকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে অতিরিক্ত ১০ হাজার কর্মকর্তা মোতায়েনের ফলে ক্রিসমাসের ছুটির সময়কালে এবং তার পরেও একটা পরিবর্তন আনবে।
তবে ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি স্টাডিজের অপরাধ বিষয়ক বিশ্লেষক গ্যারেথ নিউম্যান এ বিষয়ে সন্দিহান। তিনি বলেন, অপরাধের পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে যে এক দশকেরও বেশি সময় আগে শুরু হওয়া মানুষ হত্যার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৃদ্ধির হার আরও বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, সরকারের অপরাধ দমনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে।
নিউম্যান বলেন “তাদের দেশের বিশাল সম্পদ ব্যবহার করার মত সক্ষমতা নেই। আমরা আপনার বিশাল অংকের অপরাধমূলক বিচার বাজেট সম্পর্কে কথা বলছি, যা বার্ষিক প্রায় আর -১৪০, আর আর -১৫০ বিলিয়ন (৮.৮ বিলিয়ন) এর কাছাকাছি। পুলিশ বিভাগের ১৮০ হাজার কর্মী কার্যকরভাবে রিসোর্স বা তথ্য-অর্থসম্পদ ঠিকঠাক ভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম নয় ফলে অপরাধীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে তারা ব্যর্থ।”
উদাহরণস্বরূপ, নিউম্যান বলেছেন, ২০১২ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ বিভাগের হত্যা সম্পর্কিত মামলা সমাধান করার ক্ষমতা ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।