অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগান পুরুষ ও নারীদের প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত; তালিবানের তীব্র নিন্দা যুক্তরাষ্ট্রের


আফগানিস্তান
আফগানিস্তান

আফগানিস্তানে নারী, মেয়েশিশু এবং মানবাধিকারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত চুরি এবং ব্যভিচারের মতো “নৈতিক অপরাধের” অভিযোগে অভিযুক্ত নারীসহ জনগণকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করার আয়োজন করার কারণে ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থী তালিবানের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

তালিবান সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে “ব্যভিচার,ডাকাতি এবং অন্যান্য ধরনের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন পাপের জন্য” ১১ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারীকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। এই সংবাদ প্রকাশের একদিন পরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত এই প্রতিক্রিয়া জানান।

ফৌজদারি বিচারের জন্য শরিয়া নামে পরিচিত ইসলামিক আইনের কঠোর ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে এটি তালিবানের সর্বসাম্প্রতিক পদক্ষেপ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবানের শাসনামলে দেশটিতে শরিয়া আইন কার্যকর ছিল। সেসময় দেশটির বেশিরভাগ স্থানে শাস্তি হিসেবে বেত্রাঘাত প্রচলিত ছিল।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, ব্যভিচার, চুরি এবং বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার কারণে উত্তর-পূর্ব তাখার প্রদেশে ৯ জন নারীসহ ১৯ জনকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। এতে বলা হয় তাদের প্রত্যেককে ৩৯ বার করে বেত্রাঘাত করা হয়।

শরীয়া আইনের ব্যবস্থা ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের পাশাপাশি নবী মুহাম্মাদ(দঃ)’এর বাণী এবং কর্ম থেকে উদ্ভূত বলে বলা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নেটো সৈন্য এবং তাদের আফগান অংশীদারদের বিরুদ্ধে প্রায় ২০ বছরের বিদ্রোহের পর তালিবান ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় ফিরে আসে। তালিবান ক্ষমতা দখলের কয়েকদিন পরেই আফগানিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

মানবাধিকার এবং সন্ত্রাস সম্পর্কিত উদ্বেগের কারণে কোনো দেশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তালিবান শাসনকে স্বীকৃতি দেয়নি। আফগানিস্তান যদি তাদের শুধুমাত্র পুরুষ দ্বারা গঠিত সরকারের বৈধতা চায়, তাহলে আফগান নারীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে ইসলামপন্থী শাসকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

XS
SM
MD
LG