অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নারীদের প্রতি তালিবানের আচরণ অপরাধ বলে নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা


আফগানিস্তানের কাবুলে একটি সৌদি ত্রাণ বিতরণ গোষ্ঠীর বিতরণ করা খাদ্য রেশন গ্রহণ করার সময় একজন তালিবান যোদ্ধা পাহারা দিচ্ছে। ২৫ এপ্রিল, ২০২২। ফাইল ছবি।
আফগানিস্তানের কাবুলে একটি সৌদি ত্রাণ বিতরণ গোষ্ঠীর বিতরণ করা খাদ্য রেশন গ্রহণ করার সময় একজন তালিবান যোদ্ধা পাহারা দিচ্ছে। ২৫ এপ্রিল, ২০২২। ফাইল ছবি।

শুক্রবার জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি দল বলেছে, আফগানিস্তানে নারী এবং মেয়েদের প্রতি তালিবানের আচরণ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে এর তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত।

বুধবার আফগানিস্তানে একটি প্রাদেশিক ক্রীড়া স্টেডিয়ামে শত শত দর্শকের সামনে ১২ জনকে বেত্রাঘাত করা হয়, যাদের মধ্যে ৩ জন ছিলেন নারী- এমন সংবাদের নিশ্চিতকরণের পরে জাতিসংঘ-নিযুক্ত বিশেষজ্ঞরা এই বিবৃতি দেন।

আমেরিকান এবং নেটো বাহিনী ২০ বছরের যুদ্ধের পর আফগানিস্তান থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার শেষ সপ্তাহগুলিতে ২০২১ সালের আগস্টে তালিবান আফগানিস্তান দখল করে।

তারা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের নিষিদ্ধ করেছে, বেশিরভাগ চাকরি থেকে নারীদের সরিয়ে দিয়েছে এবং জনসমক্ষে তাদেরকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছে। নারীদেরকে পার্ক, জিম এবং প্রমোদস্থল থেকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তালিবান-নিযুক্ত মুখপাত্র আব্দুল কাহার বালখি এক বার্তায় এপিকে , তাদের কথায়,বিশ্ব সংস্থা দ্বারা কৃত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের একটি তালিকা দিয়েছেন যার মধ্যে রয়েছে “নারী অধিকার এবং সমতার নামে নিরীহ আফগানদের ওপর জাতিসংঘের সামষ্টিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে শাস্তি প্রদান।”

তালিবান কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বিলিয়ন বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আটক করার ফলে যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের আগে আফগানিস্তানের সাহায্য-নির্ভর অর্থনীতিতে যে সকল বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান এবং বৈদেশিক অর্থের যোগানের প্রবেশগম্যতা ছিল তা সীমিত হয়ে গেছে।

বিশ্বের কোনো দেশ তালিবান কথিত আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতকে স্বীকৃতি দেয়নি কারণ তালিবান তাদের প্রশাসনকে আন্তর্জাতিক এবং আর্থিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।

XS
SM
MD
LG