আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে। এই ঋণ সহায়তা পেতে সংস্থাটির দেওয়া শর্ত মেনে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। রবিবার (২৭ নভেম্বর) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ঐ কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। কারণ গণমাধ্যমের সঙ্গে তাদের কথা বলার অনুমতি নেই।
সূত্রগুলো জানায়, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি আইএমএফের অন্যতম শর্ত। তাই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সম্প্রতি বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়েছে। এটি বিতরণ কোম্পানিগুলোকে ভোক্তা পর্যায়ে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করেছে।
ঐ ঋণের চূড়ান্ত অনুমোদনের আগেই, এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। আইএমএফের দাবির মধ্যে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যার মধ্যে খেলাপি ঋণ হ্রাস করা, সরকারি ভর্তুকি ব্যয় হ্রাস এবং রাজস্ব খাতের সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ও গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এ প্রসঙ্গে বলেন, “আইএমএফের শর্ত মেনে নেওয়া উচিত। এগুলোর সঙ্গে কারো দ্বিমত করা ঠিক নয়।”
“এবারের শর্তগুলো খুবই নমনীয়। আমরা যদি এগুলো মেনে নিতে না পারি, তাহলে বুঝতে হবে আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাই না;” বললেন আহসান এইচ মনসুর।