ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবা বৃহস্পতিবার বলেন যে, তিনি রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন খাতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কুলেবা টুইটারে লেখেন যে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন “অবশ্যই বন্ধ করে দিতে হবে”। তিনি জানান যে তিনি ইইউ-র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ইয়োসেপ বোরেল এর সাথে এক বৈঠকে বার্তাটি দিয়েছেন এবং একইসাথে ইউক্রেনকে দেওয়া প্রতিরক্ষা সহায়তার জন্য ইইউ-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের শহরগুলোতে আক্রমণ চালাতে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আসছে। এমন হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে দেশটির বৈদ্যুতিক গ্রিডের অংশবিশেষ সহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বুধবার বলে যে, ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ উত্তাপ, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহকারী অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্য করে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা রাশিয়ার অভিযানটি, রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নয় মাসব্যাপী যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তার সিদ্ধান্তে ফাটল ধরাতে পারবে না।
রোমানিয়ার বুখারেস্ট-এ দুইদিনব্যাপী নেটো সম্মেলনের পর, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে, যখন নির্মম শীতকাল জেঁকে বসছে তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষদের লক্ষ্য করে তার “ফায়ার অ্যান্ড আয়ার” অভিযানটি পরিচালনা করছেন।
ব্লিংকেন বলেন, “উত্তাপ, পানি, বিদ্যুৎ - এগুলোই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নতুন লক্ষ্যবস্তু। তিনি সেগুলোতে ব্যাপকভাবে আঘাত হানছেন। ইউক্রেনের মানুষের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতা বর্বর আচরণ।”
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই কূটনীতিবিদ পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে পুতিন ইউক্রেনকে সমর্থনকারী পশ্চিমা জোটে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছেন, যখন কিনা বৈশ্বিক জ্বালানী মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ইউক্রেনীয়রা নিয়মিত, ব্যাপক আকারের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হচ্ছেন।
ব্লিংকেন বলেন, “এমন কৌশল কাজে লাগেনি এবং লাগবেও না। আমরা তাদেরকে ভুল প্রমাণিত করা অব্যাহত রাখব। বুখারেস্টে [উপস্থিত] সবগুলো দেশ থেকে আমি পরিষ্কারভাবে সেই বার্তাই পেয়েছি।”