বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে আলোচনার জন্য ফরাসি নেতা ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে অভ্যর্থনা জানাতে চলেছেন। ওই আলোচনায় ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের নিরাপত্তা ইস্যুও আলোচ্যসূচিতে থাকবে।
বাইডেন প্রেসিডেন্ট হবার পরে ম্যাক্রোঁই প্রথম বিশ্বনেতা যিনি রাষ্ট্রীয় সফরে আসছেন।
ম্যাক্রোঁর সফরের আগে হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি বলেন, “আপনি যদি ইউক্রেনে কী ঘটছে তা দেখেন, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে কী ঘটছে তা লক্ষ্য করেন এবং চীনের সাথে উত্তেজনার ব্যাপারটি খেয়াল করেন, ফ্রান্স সত্যিই এসবের কেন্দ্রে রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এবং সে কারণে প্রেসিডেন্ট মনে করেন, প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য এটিই সঠিক এবং সবচেয়ে উপযুক্ত দেশ।”
বাইডেন এবং তার স্ত্রী জিল বুধবার ওয়াশিংটনের একটি রেস্তোরাঁয় ম্যাক্রোঁ এবং তার স্ত্রী ব্রিজিটের সাথে ডিনার করেন।
এর আগে বুধবার ম্যাক্রোঁ তার দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনার একটি উৎসের কথা উল্লেখ করেন এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের সাথে একটি বৈঠকে বাইডেনের মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইন সম্পর্কে কথা বলেছিলেন।
আইনের যে বিধানগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পণ্যের জন্য ভর্তুকি প্রদান করে, ম্যাক্রোঁ সেগুলো উদ্ধৃত করে বলেন যে, এই ব্যবস্থা ইউরোপের কোম্পানিগুলোর প্রতি “অতি আগ্রাসী” ছিল।
তিনি বলেন, “আমি আমেরিকার পণ্য বিক্রয়ের বাজার হতে চাই না। আমার কাছে আপনার মতো একই পণ্য আছে।”
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি,এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।